বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে ঢাকা আসছে মঙ্গলবার

প্রোটিয়াদের কাছে ছয়টি সীমিত ওভারের ম্যাচের পাঁচটিই হেরে ঢাকা আসছে জিম্বাবুয়ে। অন্য একটি ম্যাচ জিম্বাবুয়ে জিতেছে ভাবলে ভুল করবেন, ওই ম্যাচটা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সেটা না হলে হয়তো ছয় ম্যাচের সবগুলো হারার ক্ষত নিয়েই বাংলাদেশের সামনে পড়তে হতো তাদের!

জিম্বাবুয়ে এবার বাংলাদেশে আসছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। ২১ তারিখ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ঢাকায় শুরু হবে সিরিজ। বাকি দুই ওয়ানডে হবে চট্টগ্রামে। এরপর প্রথম টেস্টের জন্য দুই দল উড়ে যাবে সিলেট। এই সিরিজ দিয়ে টেস্টে আঙিনায় পা পড়বে সিলেটের। সর্বশেষ টেস্ট খেলতে দুই দল আবার ফিরবে ঢাকায়।

ঢাকা আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং সমসংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে জিম্বাবুয়ে। দুই সিরিজের একটিতেও প্রোটিয়াদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ব্যাটিং বা বোলিং, কোনো বিভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কোনো ম্যাচে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তারা।

ব্যাটিংয়ে তিন ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেছেন শেন উইলিয়ামস। ৮০ রান করেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ৫০-এর উপরে রান করতে পেরেছেন আর মাত্র একজন। ওয়ানডেতে বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার ছিলেন তেন্দাই চাতারা। তিন ম্যাচে তার শিকার মোটে ছয় উইকেট।

টি-টোয়েন্টিতেও বজায় ছিলো তাদের এ রকম রুগ্নদশা। এই সিরিজে খেলেননি গত কয়েক বছর ধরে জিম্বাবুয়ের সাফল্যের মূলে থাকা সিকান্দার রাজা। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিসংক্রান্ত জটিলতার কারণে সিরিজটি মিস করেছেন তিনি। তবে বাংলাদেশে ঠিকই আসছেন এই অলরাউন্ডার। জিম্বাবুয়ে অন্য যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ একটু বেশিই ভালো জানেন সিকান্দার। তার জানাই গড়ে দিতে পারে পার্থক্য।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ ওয়ানডেতে ২৩৯ রান করেছেন সিকান্দার। বল হাতে নিয়েছেন ছয়টি উইকেট। তিন টেস্টে করেছেন ২৪৩ রান। বল হাতে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেটও।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়া শ্রীলঙ্কা এ বছর সবচেয়ে বড় ঝড়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সময়। সেখানে আশানুরূপ ফল করতে ব্যর্থ হওয়া জিম্বাবুয়ে ছিটকে গেছে বিশ্বকাপ থেকেই। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে জিম্বাবুয়ে।