রেকর্ড জয়ে 'বাংলাওয়াশ' উইন্ডিজ

মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ যে ইনিংস ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে সেটা সকাল সকালই আন্দাজ করা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিনে নাকাল হয়ে ২১৩ রানেই অলআউট সফরকারীরা। বাংলাদেশের ৫০৮ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল উইন্ডিজ। অর্থাৎ মিরপুর টেস্টে উইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ও ১৮৪ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণের হরফে লেখা থাকবে এই জয়টা। একটা সময় ক্রিকেটবিশ্ব শাসন করেছে উইন্ডিজ। এই দলটার হয়ে বিভিন্ন সময় বিশ্ব শাসন করেছেন গ্যারি গ্যারি সোবার্স, গর্ডন গ্রীনিজ, জর্জ হ্যাডলি, ক্লাইভ লয়েড, কার্টলি এমব্রোস, মাইকেল হোল্ডিং, স্যার ভিভ রিচার্ডসন, ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তিদের কিংবদন্তিরা।

'দুর্বল দল' বলে উইন্ডিজ বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে চাইতো না, সেটা খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজকে উইন্ডিজ স্রেফ 'আনুষ্ঠানিকতা' মনে করত সেটাও বেশি দিনের ঘটনা নয়। আজ তাদের বিপক্ষে টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ! সেটাও আড়াই দিনেই।

গর্ব করার আর একটা বিষয়ও আছে। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জিততে পারল বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ এক সময় বিশ্বক্রিকেট শাসন করা উইন্ডিজ!

আজ পাঁচ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর ক্রিকেট খেলেছে উইন্ডিজ। মেহেদি হাসান মিরাজরা সেই সুযোগই দিলেন না! প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট দখল করেছিলন তরুণ অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসেও ধরে রাখলেন ভয়ঙ্কর রূপ। এবার তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচে ১২ উইকেট। দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে দশের বেশি উইকেট পেলেন মিরাজ। অভিষেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ১২ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে মিরাজ (৭টি) আর সাকিবই (৩টি) ভাগ করে নিয়েছিলেন উইন্ডিজের দশ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানও তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন। তাইজুল ৩ উইকেট, নাঈম ও সাকিব নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

বাংলাদেশের চার স্পিনারের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে দাঁড়াতে পেরেছেন কেবল শিমরন হেটমেয়ার। সাদা পোশাকে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে ৯২ বলে ৯৩ করে আউট হয়েছেন তরুণ ব্যাটসম্যান। তার ইনিংসে ছয়ের মার ৯টি, চার ১টি।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ৬৪ রানে জিতেছিল সাকিব আল হাসানের দল।