চরম নাটকীয়তার ম্যাচে অসাধারণ জয় ইংল্যান্ডের

এই জয়কে অসাধারণ বললেও হয়তো কম বলা হয়। বলা যেতে পারে অনন্য অসাধারণ জয়! দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যটা এভাবে এমন দাপটে পেরিয়ে যাবে ইংল্যান্ড, তা হয়তো ইংল্যান্ডের সমর্থকরাও আশা করেননি! কিন্তু আশা করেছিলো জো রুট, তার ৪৪ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হতাশার অন্ধকারে ডুবিয়ে দিলো ইংলিশরা।

২৩০ তাড়া করতে নেমে ২.৩ ওভারের ওপেনিং জুটিতে ৪৮ রান করে ইংলিশরা। ১৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যান জ্যাসন রয়। আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হ্যালেস ৭ বলে করেন ১৭ রান। ৪.৩ ওভারের মধ্যেই ৭১ রান করে ফেলে ইয়ান মরগানের দল।

দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রেসিংরুমে ততক্ষণে হারের ভয়টা হয়তো ঢুকেই পড়েছিলো। ভয় ঢোকার পথে যদি কোনো বাধা-টাধা থেকে থাকে, সেটাও দূর করেন দেন জো রুট। মাঠে নেমেই শুরু করেন একের পর এক মার; যে মারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় প্রোটিয়াদের বোলিং লাইন।

৪৪ বলে তার খেলা ৮৩ রানের ইনিংসটি নিঃসন্দেহে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইনিংস। তার ব্যাটেই মূলত জয়ের বাকি কাজটা সহজ হয়ে যায় ইংলিশদের।

ম্যাচের শেষ ওভার জয়ের জন্য ছয় বলে এক রান দরকার ছিলো ইংলিশদের। এখানেই জমে উঠে নাটকের দম বন্ধ করা উত্তেজনার শেষ দৃশ্য। কাইল অ্যাবট প্রথম বলে বিদায় করেন দেন ক্রিস জর্ডানকে। অনেক দিন চোখে লেগে থাকার মতো এক ক্যাচ নেন জেপি ডুমিনি।

হাতে তিন উইকেট নিয়ে শেষ পাঁচ বলে ইংল্যান্ডের দরকার দাঁড়ায় এক রান। দ্বিতীয় বলে আবার উইকেট পড়ে ইংলিশদের! ডেভিড ওয়েলি মঈন আলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি করে বিদায় নেন রান আউটের ফাঁদে পড়ে। দুই বলে দুই উইকেট ফেলে দিয়ে চূড়ান্ত নাটকীয়তা জমিয়ে তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব মঈন আলি তৃতীয় বলে রানই নিতে পারেননি!

চতুর্থ বলে গিয়ে এক রান নেন তিনি। ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান চেজ করে দুই বল বাকি থাকতে জিতে যায় ইংল্যান্ড। মুম্বাইয়ের ওয়েংখেড়ে স্টেডিয়ামের দর্শকরা স্বাক্ষী হন ইতিহাসের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের।

আপনি আরো পড়তে পারেন

প্রোটিয়া ব্যাটিং ঝড়ের কবলে ইংল্যান্ড

কবে পাওয়া যাবে তাসকিন- সানির ফল?

বিশ্বকাপ শেষ, দেশে ফিরে গেলেন মালিঙ্গা