ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বাংলাদশের সংগ্রহ ২০৮

মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ২০৮ রান। ১৬৫ রানে নবম উইকেট পড়ার পরও বাংলাদেশ দুইশ ছাড়িয়েছে মূলত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রুবেল হোসেনের ৪৩ রানের দশম উইকেট জুটিতে। এ দুজনের দৃঢ়তায়ই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকেই। তিনি ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এ দিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৮ রানের মধ্যেই প্রথম পাঁচ উইকেট হারান মাশরাফিরা। ওপেনিং জুটি ভাঙে ৪৫ রানে। সবার আগে আউট হন ২০ রান করা তামিম। পাঁচ রান পর ফিরে যান তার ওপেনিং সঙ্গী সৌম্য সরকার। তিনিও ২০ রানই করেন। দুটি উইকেটই নেন মিরাওয়াইজ আশরাফ।

দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রান যোগ করে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। প্রথম ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেন ইমরুল কায়েস। তবে এ দিন তাকে দলে নেয়া হয়নি। তার বদলে একাদশে ঢোকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

তিন নম্বরে নেমে মাহমুদুল্লাহ করেন ২৫ রান। তৃতীয় উইকেট হিসিবে তিনি নভিন উল হকের বলে বোল্ড হয়ৈ বিদায় নেন ২৫ রান করে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ২৬ ওভারে ১১১ রান। ১০ রান পর নিজের প্রিয় শট স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে বিদায় নেন মুশফিক। প্রথম ম্যাচেও স্লগ সুইপেই আউট হয়েছিলেন তিনি। এদিনও রহমত শাহকে স্লগ সুইপ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নভিন উল হকের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

১২২ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলকে নিরাপদ সংগ্রহ এনে দেয়ার দায়িত্ব পড়ে সাকিব ও সাব্বির জুটির উপর। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৩৮ রানের মাথায় বিদায় নেন দুজনই। দুজনই শিকার হন এলবিডব্লিউর। সাকিবের উইকেটটি নেন মোহাম্মদ নবি এবং সাব্বির শিকার হন রহমত শাহের।

১৩৮ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর মান বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে জুটি গড়েন মাশরাফি ও অভিষিক্ত মোসাদ্দেক। কিন্তু এই জুটিও টিকেনি। মোহাম্ম নবির বলে মিড অফে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মাশরাফি। ১৪১ রানের মধ্যেই সাত উইকেট হারিয়ে বড় লজ্জার মুখেই দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

পরের তিন উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে মাত্র ২৪ রান। এর মধ্যে দুটি পড়ে পরপর দুই বলে। রশিদ খান তুলে নেন তাইজুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদকে। ১৬৫ রানে নয় উইকেট হারানোর পর শেষ উইকেট হিসেবে মাঠে আসেন রুবেল হোসেন। অন্যপ্রান্তে তখন ১৪ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই জুটির ৪৩ রানে ভর করেই ২০৮ রান করে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। 

আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন লেগস্পিনার রশিদ খান। আর দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি ও মিরওয়াইজ আশরাফ। এই ম্যাচটি জিততে পারলে নিজেদের শততম ওয়ানডে জয় পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে আফগানিস্তান জিতলে, এটি হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় জয় এবং এই সিরিজেও সমতায় ফিরবে তারা। 

আপনি আরো পড়তে পারেন

বিপিএল নিশ্চিত হয়েছে যে সব বিদেশির

আজই কি শততম জয় পাবে বাংলাদেশ?

শেষ ১০ ওভারের ভুল শোধরাতে চায় আফগানিস্তান

মাশরাফি: সৌম্য ঠিক পথেই আছে

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ