ম্যাচের আগে মাশরাফি যা বললেন

বুধবার সকালে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। দ্বিতীয় রাউন্ডের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা একটি ওয়ানডেতে হেরেছেন মাশরাফিরা। সুতরাং আজ মাশরাফিদের সামনে ইতিহাস বদলে দেওয়ার দায়িত্ব। একই সাথে আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ব্যবধান স্পষ্ট করারও দায়িত্বও তাদের ঘাড়ে। ম্যাচের আগে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন মাশরাফি। তার কথা তুলে ধরা হলো নিচে।

আপনারা তো কখনো আফগানিস্তানকে হারাতে পারেননি, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

আমরা তাদের সাথে একটি ওয়ানডে খেলেছি। গত এশিয়া কাপে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই ম্যাচে আমরা জিততে পারিনি। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদেরকে হারিয়ছি আমরা। এবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে তাদেরকে হারানোর পালা। আশা করি প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলবো। 

দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচে হারের পর আপনি বলেছিলেন খেলোয়াড়রা তেমন সিরিয়াসভাবে ম্যাচগুলোকে নেয়নি। এখন দলের অবস্থা কেমন?

আমি বলিনি যে কেউ ম্যাচ সিরিয়াসলি নেয়নি। আমি বলেছিলাম, অনেকে প্রস্তুতির কথা চিন্তা করেছে। যার কারণে কিছুটা মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলনে কতোটা কষ্ট করেছে এবং কিভাবে উইকেটের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের আগের চার পাঁচ দিন আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি। বিশেষ করে বোলাররা গত সপ্তাহে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে। প্রথম ম্যাচে দেখা যাবে তাদেরকে। 

আপনারা প্রচুর সমর্থন পান। অন্য খুব বেশি দল এতোটা সমর্থন পায় না। আপনি কি ভাবছেন সমর্থনের এই চাপ বিশ্বকাপে আপনাদের বিপদে ফেলবে?

এটা সত্য যে, আমরা দেশের মাটিতে অনেক সমর্থন পাই। দেশে খেলতে বেশি পছন্দ করি আমরা। কারণ তখন কানফাটানো সমর্থন পাই। দেশে কোন দলের বিপক্ষে খেলি, তা আমাদের মাথায় থাকে না। অস্ট্রেলিয়াতেও আমরা প্রচুর সমর্থন পাই এবং পাবো। এটি এখানকার মানুষদের বিস্মিত করতে পারে। আশা সমর্থকদের সামনে আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারবো।

বাংলাদেশ ১৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে। এরও আগে থেকে তারা আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র। তারপরও এখন আপনাদের আফগানিস্তানের সাথে তুলনা করা হয়। এতে কি স্বস্তি বোধ করেন আপনি?

তুলনা আসতেই পারে। যে কেউ তুলনা করে। আমরা এই তুলনাকে কিভাবে গ্রহণ করি, সেটাই আসল বিষয়। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটিকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ধরে নিয়েছি। আফগানিস্তানও তাই। আমরা তাদেরকে সম্মান করি। কে আমাদের কিভাবে তুলনা করছে তা আমাদের জন্য ভাবনার বিষয় নয়।

আয়ারল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য তাদের এই সাফল্য চাপের নাকি অনুপ্রেরণার?

অবশ্য তাদের সাফল্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। আয়ারল্যান্ডের মতো বিশ্বকাপের কন্ডিশনে দারুণ খেলেছে, এটি অবশ্য অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো খবর।

বাংলাদেশ স্পিন-নির্ভর দল। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার এই দলে বেশি। এখানকার কন্ডিশন বিবেচনায় ঠিক কী ধরনের কম্বিনেশন বেছে নিচ্ছেন? সৌম্য সরকার বা তার মতো কাউকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে কম্বিনেশন তৈরির কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

দেশে আমাদের স্পিনাররা দারুণ খেলে। ফলে তাদের উপর আমাদের নির্ভরতা বেশি। তবে আমাদের দলে কার্যকর পেসারও আছে। তবে তারা এখনো তরুণ। কিন্তু তারা সম্ভাবনাময় এবং আশা করছি তারা তাদের কাজটা করে দেখাবে। স্পিনাররাও এখানে ভালো করবে বলে বিশ্বাস করি। আমাদের স্পিনাররা বিশ্বের যে কোনো উইকেটে তারা কার্যকর।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশর লক্ষ্য টা কী?

এই মুহূর্তে তা বলা কঠিন। আমরা একটি একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। আমরা যদি সম্ভাব্য সেরাটা খেলতে পারি তবে এগিয়ে যেতে পারবো। 

কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো দলের একমাত্র সদস্য আপনি। তখন থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কতোটা উন্নতি করেছে? যা করেছে তা কি ঠিকঠাক আছে?

সেটি ২০০৫ সালের কথা। এক দশক আগের ঘটনা সেটি। তার আমাদের অনেক ম্যাচ জিতেছি। হেরেছিও বটে। এখন সবই অতিত। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা খোঁজার কিছু নেই। ম্যাচের দিন যারা ভালো খেলে তারাই জিতে।