‘মেসির সঙ্গে হলে রোনালদোর সঙ্গে কেন নয় ’

বিশ্বফুটবলে হইচই ফেলে দিয়ে ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে কিনেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তৎকালীন ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়েই রোনালদোকে কিনেছিল রিয়াল। সেই শুরু, তারপর রিয়ালের বহু রেকর্ড আর ইতিহাসের সঙ্গে রোনালদোর নাম জড়িত। আগের আট মৌসুমে মাদ্রিদের ক্লাবটিকে কতোকিছুই না এনে দিয়েছেন সিআর সেভেন। কিন্তু সেই মানুষটিই রিয়াল মাদ্রিদে এখন বড্ড অবহেলিত!

মাঠে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না রোনালদো। বয়স গিয়ে ঠেকেছে ৩২ বছরে। অন্যদিকে, ২৫ বছরের এক যুবক বিশ্বফুটবলকে মাত করিয়ে যাচ্ছেন। উজ্জল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ৩২ বছর বয়সী রোনালদোকে ছাঁটাই করে ২৫ বছর বয়সী নেইমারকে দলে ভেড়াতে রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের এমন স্বভাব অবশ্য পুরনোই। স্প্যানিশ গণমাধ্যম বলছে, নেইমারকে পেতে ‘সব করতে রাজি’ রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।

নেইমারকে পেতে বিপুল পরিমানের অর্থ এবং সাথে রোনালদোকেও দিয়ে দেয়ার প্রস্তাব নিয়ে পিএসজির সামনে হাজির হওয়ার কথা ভাবছেন পেরেজ। আবার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, নেইমারকে নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে রোনালদো নিজেই নাকি রিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু একজনের ভাবনায় নেইমার-রোনালদোর জুটি।

মানে রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদেই থাকবেন, তার সাথে জুটি বাঁধতে নিয়ে আসা হোক নেইমারকে। ভাবনাটা রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড প্রেডরাগ মিজাতোভিকের। কিন্তু রোনালদো বা নেইমার কি মানবেন বিষয়টা? মানলেও বর্তমান সময়ের শীর্ষ দুই ফুটবলার একই ক্লাবে খেলে ভালো করতে পারবেন কিনা সেই প্রশ্নও থাকছে।

প্রতিপক্ষে সঙ্গে যুদ্ধ করার বদলে নিজের আধিপত্য নিয়ে নিজেরা নিজেরা যুদ্ধে নেমে পড়ার সম্ভাবনাও থাকবে। কিন্তু মিজাতোভিক বলছেন তেমন কিছু হবে না। তার ভাবনা নেইমার যদি মেসির সঙ্গে খেলে ভালো করতে পারেন তবে রোনালদোর সঙ্গে খেলে কেন নয়!

সাবেক রিয়াল তারকা বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি খেলোয়াড় নেইমারকে পছন্দ করি। তার মধ্যে ম্যাজিক আছে তা অনেক রিয়াল সমর্থকের মন জয় করবে। যদি তাকে সই করানোর সুযোগ থাকে তবে আমিই হবো প্রথম ‘হ্যাঁ’ বলার ব্যক্তি।’

মিজাতোভিক যোগ করেন, ‘নেইমার যদি মেসির সঙ্গে খেলে ভালো করতে পারে, তবে রোনালদোর সঙ্গে কেন পারবে না। তার পূনরাবৃত্তি করতে না পারার তো কোনো কারণ নেই।’