তবু নেইমারের পিএসজিকে গুনছেন বায়ার্ন কোচ

রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখ বরাবরই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফেভারিট জায়ান্ট। এর বাইরে এবারের আসরে বাজির শীর্ষে ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। নক আউট পর্বের প্রথম লেগের ফলের (৩-১) পর কেউ কেউ হয়তো পিএসজির সম্ভাবনার শেষটাও দেখে ফেলেছেন।

বায়ার্ন মিউনিখ কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কেস অবশ্য সেই দলের লোক নন। এখনো পিএসজিকে নিয়ে তার মূল্যায়ন আছে আগের জায়গাতেই। জার্মান কোচ সুযোগ দেখছেন ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির। স্প্যানিশ দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনাকেও হুমকি হিসেবে মানছেন ২০১৩ সালের ট্রেবলজয়ী কোচ।

শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে তুরস্কে উড়ে এসেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আজ (মঙ্গলবার) রাতে বেসিক্টাসের আতিথেয়তা দেবে বাভারিয়ান ক্লাবটি। যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে সম্মান করলেও স্বপ্নযাত্রায় তুর্কি ক্লাবটিকে বাধা হিসেবে দেখছেন না বায়ার্ন ম্যানেজার।

বেসিক্টাসের চেয়ে আরো আরো কঠিন প্রতিপক্ষ দেখতে পাচ্ছেন না হেইঙ্কেস। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আগে থেকেই অনুমান করা কঠিন। এই প্রতিযোগিতায় অনেক বড় বড় ক্লাব আছে। ইংল্যান্ডের পাঁচটি দল এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা খুব শক্তিশালী।’

মৌসুমের শুরুর দিকে প্যারিসে এসে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তখন ডাগ আউটে না থাকলেও সাবেক ক্লাবের দুর্দশাটা দূর থেকেই দেখেছেন হেইঙ্কেস। তারকাঠাসা পিএসজি এই মৌসুমে ঘরের মাঠে কতটা ভয়ঙ্কর দল হয়ে উঠতে পারে সেটাও ভালো জানা আছে তার। তাই রিয়ালের মাঠে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে পিএসজি হারলেও সেটাকে বড় করে দেখছেন না হেইঙ্কেস।

রিয়াল-বার্সার পাশাপাশি এখনো পিএসজিকে বায়ার্নের শিরোপাযাত্রায় বাধা মনে করছেন জার্মান কোচ। বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং পিএসজি এখনো আমার কাছে ফেভারিট।’ তবে এই দল তিনটিকে সমীহ করছেন না বায়ার্ন কোচ। বরং ইতিহাসের পুণরাবৃত্তির স্বপ্ন দেখছেন হেইঙ্কেস, ‘ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় বায়ার্ন একটি সফল দল। অবশ্যই আমরা আমাদের ঐতিহ্যের পথে হাঁটব। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার নিয়ন্ত্রণ সবসময় আপনার হাতে থাকবে না। আপনাকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ যে কোনো প্রতিপক্ষ আপনাকে হোঁচট খাওয়াতে পারে।’

বায়ার্ন কোচ শেষ বাক্যে যে বেসিক্টাসের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন সেটা তার কথাতেই পরিষ্কার। হেইঙ্কেসের যতটানা ভয় বেসিক্টাসকে নিয়ে তারচেয়েও বেশি ভয় ক্লাবটির কোচ সেনল গানেজকে নিয়ে। যার অধীনে ২০০২ বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা দল হয়েছিল তুরস্ক। বায়ার্ন কোচ যথার্থই বললেন, ‘এই দলটায় আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন খেলোয়াড়ের অভাব নেই। তাদের অনেক সফলতা আছে। যেটার নেপথ্য কারণ কোচ। সে হয়তো আমার (৭২) বয়সী নয় কিন্তু ৬৫। খুবই অভিজ্ঞ এবং বড় মাপের কোচ তিনি (গানেজ)। কীভাবে একটা দলকে সমন্বয় করতে হয় সেটা তার ভালোই জানা আছে।’