আত্মঘাতী গোলে পিএসজির রক্ষা

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে টানা ছয় ম্যাচ ধরে জয়রথ ছুটে চলছিলো প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। অবশেষে প্যারিসের ক্লাবটির জয়রথ থামাল সেন্ট এতিয়েন। শুক্রবার রাতে পিএসজিকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে পয়েন্ট তালিকার নয় নম্বরে থাকা দলটি।

অবশ্য রুখে দিয়েছে বললে ভুল হবে। পরাজয়ের মুখেই পড়েছিল নেইমারবিহীন পিএসজি। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আত্মঘাতী গোলে রক্ষা হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। তবে হোঁচট খেলেও পয়েন্ট তালিকায় যথারীতি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে পিএসজি।

৩২ ম্যাচে উনাই এমেরির দলের সংগ্রহ ৮৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা মোনাকো তাদের চেয়ে এখনো ১৭ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। শীর্ষ দুই দলের পেছনে আছে যথাক্রমে অলিম্পিক মার্শেই এবং অলিম্পিক লিঁও। মার্শেইর পয়েন্ট ৬২। তাদের সঙ্গে লিঁওর দূরত্ব দুই পয়েন্টের।

অথচ পুরো ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল পিএসজি। কিন্তু সেন্ট এতিয়েনের বিপক্ষে আক্রমণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এমেরির শিষ্যরা। উল্টো ম্যাচের ১৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তারা। পিএসজির জাল কাঁপান রেমি কাবেলা। তিনি বৃথা যেতে দেননি এতিয়েন ডিফেন্ডার ম্যাথু দিবুশির দুর্দান্ত ক্রসটা। ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো তিন মিনিটের মধ্যে। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি এতিয়েন।

তবে দ্বিতীয় গোলের সম্ভাব্য সেরা সুযোগটা স্বাগতিক এতিয়েন মিস করেছে ম্যাচের বয়স আধ ঘণ্টা হতেই। কিন্তু পেনাল্টি থেকে কাবেলার শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক। নিজেদের বিপদসীমায় কিমপেমবে এতিয়েন খেলোয়াড় হামুমোরাকে ফেলে দেওয়ার মাশুলটাও তাই দিতে হয়নি অতিথিদের।

পিএসজিকে হারানোর আরো সুযোগ এসেছিল এতিয়েনের সামনে। ৪১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিমপেমবে। কিন্তু দশ জনে পরিণত হওয়া পিএসজির বিপক্ষে ফায়দাটা তুলে নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার থিয়াগো সিলভাবে মাঠে নিয়ে রক্ষণদুর্গকে গুছিয়ে নেন পিএসজি কোচ এমেরি।

এরপর গোছানো আক্রমণে যায় পিএসজি। তবে ফল পাওয়ার জন্য ম্যাচের প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে পিএসজির আক্রমণের তোপে দিবুশি নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন (১-১)। তবে পিএসজি সমতায় ফিরতে পারতো আরো আগে। কিন্তু অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামা এডিনসন কাভানি স্বাগতিক গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন।