রেফারির উপর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গার্দিওলা

সেমিফাইনালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। অসাধ্য সাধন করারই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলো ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু দুর্দান্ত শুরুর পরও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় ঠেকাতে পারলো না পেপ গার্দিওলার দল। মঙ্গলবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগেও লিভারপুলের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে তারা।

দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে ম্যানসিটি। কিন্তু ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারতো। ইতিহাস গড়ার কক্ষপথে থাকা সিটিকে শেষ পর্যন্ত থমকে দাঁড়াতে হলো। গার্দিওলার দল শিকার হলো বাজে রেফারিংয়ের।

সেমিফাইনালে যেতে হলে ৪-০ গোলের জয় দরকার ছিল সিটির। সে লক্ষে ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে লিড নিয়েছিল স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সিটি এগিয়ে যেতে পারতো ২-০ গোলে। কিন্তু তাদের সম্ভাবনাটা প্রায় শেষ করে দেন রেফারি।

এ দিন লিরয় সানেকে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত করেন রেফারি মাতেউ লাহোজ। সিটি তারকার গোলটা অফসাইড বলে বাতিল করে দেন তিনি। যদিও রেফারির এই সিদ্ধান্ত রীতিমতো বিতর্কের ঝড় তুলেছে। প্রাপ্য গোল আদায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সিটি কোচ গার্দিওলাকে আবার লাল কার্ড দেখে ছাড়তে হয়েছে ডাগ আউট।

স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ এবং হতাশ হয়েছেন সিটি কোচ। লিভারপুল ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন ম্যানচেস্টার ডার্বির হারের রেফারিংয়ের সঙ্গে। ম্যাচ শেষে বিটি স্পোর্টকে গার্দিওলা বলেছেন, ‘অনেকটা (ম্যানচেস্টার) ইউনাইটেড ম্যাচের মতোই রেফারিং হলো আজ (মঙ্গলবার)। সেদিন আমার দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য পেনাল্টি সিদ্ধান্তটা দিয়েছিলেন রেফারি। দুটো ম্যাচই দারুণ ছিল। কিন্তু রেফারির এ ধরণের সিদ্ধান্ত ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।’

রেফারিকে এক হাত নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমি বলেছিলাম এটা গোল। তাকে (রেফারিকে) আমি কোনো অসম্মান করিনি। আমি বিনয়ী ছিলাম, সঠিক ছিলাম। কিন্তু মাতেউ লাহোজ বিশেষ এক লোক, তিনি ভিন্নকিছু পছন্দ করেন, কারণ তিনি বিশেষ কেউ হতে চান।’

গত মৌসুমে মোনাকোর হাত ধরে বিদায় নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কাকতালীয়ভাবে সেই ম্যাচেও রেফারিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন মাতেউ! গার্দিওলা তাই আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন অতীতটা, ‘গত মৌসুমে মোনাকোর সঙ্গে কি হয়েছিল সেটা আমি ভুলিনি। সেদিনের ম্যাচটারও ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন মাতেউ। আমি একটা শব্দও ভুল বলিনি। তিনি আসলেই একজন বিশেষ লোক যিনি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পছন্দ করেন।’