পাওয়ার ফুটবল ও শৈল্পিক ফুটবলের জন্য বরাবরই ইউরোপের চেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা। এই মহাদেশের ফুটবল সংগঠনের নাম কনমেবল। তাদের সদস্য সংখ্যা মাত্র দশটি। সবশেষ যে দেশটিকে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল সেই দলটির নাম পেরু। ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় একটু দেরিতেই ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছিল পেরুর।

peru football team 2018

তবে মজার বিষয় হচ্ছে ল্যাটিন কোনো দেশ নয়, ইউরোপিয়ান পরাশক্তি ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ফুটবলের অ-আ শেখে পেরু। যখন পেরু ব্রিটিশিদের উপনিবেশ ছিল। তখন সমুদ্র পাড়ি দিয়ে পেরুতে আসার সময় ফুটবলও সঙ্গে নিয়ে আসত ব্রিটিশরা। ব্রিটিশদের খেলা দেখতে দেখতে একদিন নিজেরাই বল নিয়ে নেমে পড়ে পেরুভিয়ানরা। ব্রিটিশরাও পেরু মানুষকে ফুটবল শেখায় বেশ কৌতুহল নিয়েই।

তাদের ফুটবল যাত্রা সেই শুরু। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির পথচলা শুরু হয়েছে ১৯১২ সালে। আন্তর্জাতিক ফুটবেল তাদের অভিষেক হয় আরো ১৫ বছর পর। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১৯৩০ সালে ফিফা ও প্রতিবেশি দেশ উরুগুয়ের আহ্ববানে সাড়া দিয়ে প্রথম বিশ্বকাপেই অংশ নেয় পেরু।

কোনো বাছাইপর্ব ছিল না বিধায় সহজেই বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল পেরুর। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা পেরুভিয়ানরা বুঝতে পারে এরপরই। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় চার দশক পর্যন্ত! মাঝের এই সময়টা পেরু কাটিয়েছে আঞ্চলিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে।

১৯৭০ সালে বিশ্বকাপে ফিরে আসে পেরু। ফেরার উপলক্ষটাকে ল্যাটিন দলটি রাঙিয়ে তুলেছিল। সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল তারা। সাফল্যটা ধরে রেখে ১৯৭৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পেরু। প্রথমবার তারা এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল ১৯৩৯ সালে।

বাছাইপর্বের বাধা ডিঙাতে না পারায় ১৯৭৪ বিশ্বকাপে দর্শক সারিতে থাকতে হয় লাল-সাদাদের। পেরু তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলে পরের আসরেই। ওই আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল পেরু। চতুর্থ ও শেষবার ১৯৮২ বিশ্বকাপে পেরুভিয়ানদের বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় গ্রুপপর্বের শুরুতেই। ৩৬ বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপ দিয়ে আবারো বিশ্বমঞ্চে ফিরছে পেরু।

এবারো ফেরাটা রাজসিক করতে মরিয়া দলটি। তাদের এই আশাটা একেবারেই অমূলক নয়। কারণ গত কয়েক বছরে ইতিহাসের সেরা ছন্দে আছে দেশটি। গত বছর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে উঠে এসেছিল তারা। যদিও আপাতত তালিকার ১১ নাম্বারে আছে পেরু। বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে পারলে আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে তাদের।

পেরুর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩২টি গোল করেছেন পাওলো গুরেরো। তিনিই দেশটিকে এবার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই গুরোরো আপাতত আছেন নির্বাসনে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় গত বছর ১২ মাসের জন্য পেরু অধিনায়ককে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। যদিও আপিলের প্রেক্ষিতে তার নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে ছয় মাসে।

বিশ্বকাপে মাঠে নামার প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন গুরেরা। কিন্তু তাতে আবার বাধ সাঁধে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি। কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসের মাধ্যমে গুরেরোর ওপর ১৪ মাসের নিষেধাজ্ঞার খড়গ বসায় সংস্থাটি। পেরু ফুটবল দলের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ এখন অধিনায়ককে নিয়েই।

শেষ অবধি বিশ্বমঞ্চে তারা গুরেরোকে পাবে কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে যাবে কদিনের মধ্যেই। তবে অধিনায়ক ও পেরু ফুটবলের দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রতিপক্ষ দলগুলোও। গুরেরোকে বিশ্বকাপে চেয়ে ফিফাকে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং ডেনমার্ক। এই তিনটি দলই বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে পেরুর সঙ্গী। আগামী ১৬ জুন ডেনমার্কের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হবে পেরুভিয়ানদের।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.