নতুন বিতর্কে ফুটবলের ‘ব্যাড বয়’

চার বছরের বিরতি দিয়ে আবারো আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছেন মারিও বালোতেল্লি। গত সপ্তাহে প্রীতি ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে দারুণ এক গোল করে ফেরাটাও স্মরণীয় করে রেখেছেন ‘ব্যাড বয়’ খ্যাত এই তারকা ফুটবলার। কিন্তু সুঃস্মৃতিটা ছাপিয়ে নতুন বিতর্কে জড়ালেন বালোতেল্লি।

ম্যানচেস্টার সিটিতে থাকাকালীন রবার্তো মানচিনিকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন বালোতেল্লি। কিন্তু গুরু-শিষ্যের রসয়ানটা ঠিক জমে ওঠেনি ইংলিশ ফুটবলে। কয়েকবারই সংঘাতে জড়িয়েছিলেন তারা। ইতালি জাতীয় দল মানচিনি-বালোতেল্লির পুনর্মিলনীর মঞ্চ হিসেবে তৈরি করে দিয়েছে।

পুরনো বৈরিতা ভুলে নতুন করে পথ চলতে শুরু করেছেন গুরু-শিষ্য। ফেরার ম্যাচে বালেতেল্লির পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি হয়েছেন ইতালি কোচ। প্রতিভাবান এই স্ট্রাইকার ভবিষ্যতে ইতালির কোচ হতে পারেন বলে আভাস দিয়েছেন মানচিনি। কিন্তু গুরু-শিষ্যের মধুচন্দ্রিমায় হঠাৎই চলে এলেন দেশটির সহকারী প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি।

বালোতেল্লির জন্মভূমি ইতালি। ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশটিতেই বেড়ে উঠেছেন এই স্ট্রাইকার। কিন্তু ইতালির নাগরিকত্বের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১৮ বছর পর্যন্ত। কারণ বালোতেল্লির বাবা-মা দুজনই ছিলেন আফ্রিকান দেশ ঘানার। ঘানাইয়ান পিতা-মাতার সন্তান হওয়ায় ইতালিতে বেশ ভুগতে হয়েছে বালোতেল্লিকে।

দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এবং হতাশার কথাটা ২৭ বছর বয়সে এসে জানালেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বালোতেল্লি বলেছেন, ‘১৮ বছর বয়সে নাগরিকত্ব পাওয়াটা মোটেই স্বস্তির নয়। জন্মসূত্রে আমি ইতালিয়ান হওয়া সত্ত্বেও স্বীকৃতি না পাওয়াটা আমার জন্য কঠিন ছিল।’

ইতালি সরকারকে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন আনার পরামর্শ দিয়েছেন বালোতেল্লি। বলেছেন, ‘আমি ইতালিতে জন্ম নিয়েছি। এখানেই বড় হয়েছি। আমি কখানোই আফ্রিকান ছিলাম না। কিন্তু ১৮ বছর হওয়ার পর আমি ইতালিয়ান হয়েছি। আমার মনে হয় এই আইনটার সংশোধন হওয়া উচিত।’

বালোতেল্লির কথার প্রেক্ষিতে টুইটারে ইতালির সহকারী প্রধানমন্ত্রী সালভিনি বলেছেন, ‘প্রিয় মারিও (বালোতেল্লি), জন্মসূত্রে ইতালিয়ান হিসেবে অগ্রাধীকার পাওয়া যায় না। শুভ কামনা তোমার জন্য। ফুটবল খেলাকে উপভোগ করতে থাকো।’ সালভিনির টুইটের জবাবে মজা করে বালোতেল্লি বলেছেন, ‘সালভিনি যেখানে বলবেন আমি সেখানেই খেলব।’