কেভা যেনো পেরুর 'মেসি', জয়ে শুরু ডেনমার্কের

পুরো ম্যাচ দুর্দান্ত খেলার পরও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো না পেরু। জয়ের বদলে হারই জুটলো ল্যাটিন আমেরিকার দলটির ভাগ্যে। শনিবার ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুভিয়ানদের ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ডেনমার্ক। আর পেরুর হয়ে এ দিন 'মেসি' হয়ে হাজির হন কেভা। দিনের দ্বিতীয় খেলায় মেসি যেভাবে পেনাল্টির সুযোগ মিস করেছেন, সেভাবে মিস করেছেন কেভাও। 

রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর আগে সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি নিয়েছিল পেরু। টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে রীতিমতো উড়ছিল ল্যাটিন আমেরিকান দলটি। অবশেষে পেরুভিয়ানদের গা থেকে অজেয় তকমা তুলে ফেললো ডেনমার্ক। পেরুকে হারিয়ে ধারাবাহিক ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার গৌরবটা ধরে রাখল ডেনিশরা। কাঠখড় পোড়ানো এই জয়ের ফলে নক আউট পর্বের দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে গেল ডেনমার্ক।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে শনিবারের দিনটা হাজির হলো অনেকটা চমকপ্রদভাবেই। প্রথম তিনটি ম্যাচই উপহার দিয়েছে চারটি পেনাল্টি। গত দুই দশকের মধ্যে এতগুলো পেনাল্টি একদিনে দেখেনি বিশ্বকাপ। ফ্রান্স বিশ্বকাপে একই দিনে সর্বোচ্চ ৬টি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারিরা।

শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে জয় হাতছাড়া করেছেন মেসি। শেষ অবধি আইসল্যান্ড মেসির আর্জেন্টিনাকে রুখে দেয় ১-১ গোলে। এদিন পেনাল্টি মিসের খেসারত দিতে হলো ল্যাটিন আরেক দল পেরুকেও। কিন্তু পেরুভিয়ানরা স্পট কিক থেকে গোল করার সুযোগটা পায়ে ঠেলেছে।

সারানস্ক ম্যাচের ৫৯ মিনিটে দারুণ এক গোলে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন ইউসুফ পুলসেন। তার এই গোলটাই ম্যাচের ভাগ্য ডেনমার্কের পক্ষে গড়ে দিয়েছে। বাকি সময়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেও ডেনিশদের আর গোলটা ফিরিয়ে দিতে পারেনি পেরু।

অথচ ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগটা প্রথম পেয়েছিল ল্যাটিন প্রতিনিধি দলটিই। ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলদাতা পুলসেনের ভুলেই পেনাল্টি উপহার পেয়েছিল পেরু। বিরতির আগ মুহূর্তে ক্রিশ্চিয়ান কেভাকে ডি-বক্সে ফেলে দেন ডেনিশ ফরওয়ার্ড।

পেরুর পেনাল্টি দাবিটা অবশ্য শুরুতে নাকচ করে দিয়েছিলেন রেফারি। তখনই ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারিংয়ের আশ্রয় নিতে হলো ম্যাচকর্তাকে। কিন্তু প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত পেনাল্টিটা শেষ অবধি পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি কেভা। তিনি শট মারেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে। এই ভুলের খেসারত পেরুকে দিতে হলো হার দিয়ে। অথচ পুরো ম্যাচে কী দাপটটাই না বিস্তার করেছিল পেরু!