দলের সব রকম ক্ষমতা হারালেন সাম্পাওলি?

দুই ম্যাচে এক ড্র ও এক হার, রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার টালমাটাল অবস্থার জন্য আর কিছুই দরকার ছিলো না। কিন্তু আসলে হয়ে যাচ্ছে আরো অনেক কিছু। যাতে আলবেসিলেস্তেদের অবস্থা এখন বড্ড নাজুক। দুই ম্যাচের ব্যর্থতার পর দলের সিনিয়ার ফুটবলাররা স্বভাবতই হতাশ। সেই হতাশার সঙ্গে যোগ হয়েছে কোচের ক্ষোভ। যে ক্ষোভের জেরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে সম্ভবত সব ধরনের ক্ষমতা হারিয়েছেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি।

রাশিয়া থেকে একটি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, প্রথম দুই ম্যাচের ব্যর্থতার পর কোচের উপর রেগে যান হাভিয়ের মাশচেরানোসহ দলের একাধিক সিনিয়র সদস্য। তারা কোচের পরিকল্পনা এবং একাদশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রকাশ্যে কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।

এ ঘটনায় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান কর্মকর্তাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। একটা সময় নাকি প্রধান কোচকে বিশ্বকাপের মাঝপথেই সরিয়ে দেয়ার দাবি জানান ফুটবলাররা। সেই দাবি মানেনি এএফএ। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আরো বিবাদের ভয়ে কোচের দায়িত্ব নাকি খর্ব করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বটা পালন করবেন আসলে খেলোয়াড়রাই। একাদশ নির্বাচন এবং খেলোয়াড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও তারা নিজেরাই নিবেন। এই পরিস্থিতিতে সাম্পাওলি যদি চান, তবে ডাগআউটে থাকতে পারেন, নাও থাকতে পারেন।

সাম্পাওলিকে এ যাত্রায় সরাসরি বরখাস্ত না করলেও এএফএর রাগ থেকে উইলি কাবায়েরোর মুক্তি মিলছে না। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে তার শিশুতোষ ভুল থেকেই প্রথম গোল হজম করে আর্জেন্টিনা। ওই গোল মেসিদের মনোযোগে এমনই ব্যঘাত ঘটায় যে, পরে হজম করতে হয় আরো দুই গোল।

এ রকম টালমাটাল অবস্থায় আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়ার বিপক্ষে কতোটা কী করতে পারবে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। দ্বিতীয় পর্বে উঠতে না পারার লজ্জা এড়াতে শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে শুধু হারলেই হবে না মেসিদের। তাকিয়ে থাকতে হবে ক্রোয়েশিয়া আইসল্যান্ডের ম্যাচের দিকেও। ওই ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া অপরাজিত থাকলে এবং নাইজেরিয়াকে হারাতে পারলেই মেসিদের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হবে।