নেইমার দ্য সিলভা সান্তোস জুনিয়র— দেখালেন নিজের অনন্য রূপ। করলেন একটা গোল। করালেন আরো একটা। তাতে ভর দিয়ে অসাধারণ এক জয়ে মেক্সিকোকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো ব্রাজিল।

brazil beats mexico to enter quarter final of russia world cup

ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সম্মোহনী সৌন্দর্য্যের যে ছটা আর নেই বলে শোনা যায়, মেক্সিকোর বিপক্ষে সেটাই কি ফিরিয়ে আনলেন নেইমাররা? এমন প্রশ্ন উঠা এখন খুব স্বাভাবিক। দুরন্ত গতি ও দুর্বার সাহসী মেক্সিকানরা এই ম্যাচে খেললো তাদের সামর্থ্যের চেয়েও বেশি ভালো। কিন্তু ব্রাজিল যে আসলে খেলতে নেমেছিলো তার চেয়েও বেশি ভালো ফুটবল! ফল— মেক্সিকোর নানামাত্রিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেলো মাঠে। অনন্য নেইমার অসাধারণ জয় এনে দিলেন ব্রাজিলকে।

ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিলো গোলশূন্য। ব্রাজিলের দারুণ দাপট রুখে দিয়ে মেক্সিকো আভাস দিচ্ছিলো অন্য কিছুর। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দেখা মিলে অন্য ব্রাজিলের। বেড়ে যায় তাদের গতি, বেড়ে যায় আক্রমণের ধার। যার ফল আসে ৫১ মিনিটে গিয়ে।
এ সময় অসাধারণ দক্ষতায় গোল করেন নেইমার। উইলিয়ানের কাছ থেকে পাওয়া নিচু হয়ে আসা ক্রস মেক্সিকোর জালে ঢুকিয়ে দেন তিনি। যা এবারের বিশ্বকাপে নেইমারের দ্বিতীয় গোল।

এর ঠিক আট মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। কিন্তু পৌলিনহো সহজ এক সুযোগ মিস করেন। তার দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন মেক্সিকান গোলরক্ষক গিয়ের্মো ওচোয়া। অবশ্য এবারই প্রথম নয়, আরো একাধিক নিশ্চিত গোল থেকে মেক্সিকোকে বাঁচান তিনি। ৬৩ মিনিটে আরো একবার উইলিয়ানদের দারুণ এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ওচোয়া।

ওচোয়া যতোই মেক্সিকো সেভ করে যাচ্ছিলেন, নেইমার, জেসুস ও কোতিনহোরা ততোই হয়ে উঠছিলেন আক্রমণাত্মক। অসাধারণ ছিলে উইলিয়ানও। গত ম্যাচে গোল মিস করে ব্রাজিলের সমর্থকদের কাছে তুমুল সমালোচিত হওয়া উইলিয়ান এই ম্যাচে দৌড়েছেন মাঠজুড়ে।

দলের মূল তারকাদের দারুণ ছন্দ ব্রাজিলকে এনে দেয় আরো এক গোল এবং এটিও শুরু হয় নেইমারের পা থেকে। ৮৮ মিনিটে তার সহায়তায় গোল করেন কোতিনহোর বদলে নামা রবার্তো ফিরমিনো। মূল সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া মেক্সিকো ম্যাচে ফিরে আসার আর কোনো চেষ্টাই করতে পারেনি।

এর আগে, প্রথমার্ধে গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হয় দুই দলই। তবে মাঠের কর্তৃত্ব ছিলো ব্রাজিলের। নেইমার অন্তত তিনটি সহজ সুযোগ সৃষ্টি করেন। যার প্রতিটিই গোল হতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের, দলের সেরা তারকার তৈরি করা সুযোগের একটিও কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল।

এই তিন সুযোগ নিয়ে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি সুযোগ তৈরি করেন নেইমার। যা মেক্সিকো-ব্রাজিল শেষ ষোলোর ম্যাচের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টির রেকর্ড।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট কয়েক আগে একটি ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। ফাউলের শিকার হন নেইমার। ওই ফাউল থেকেই ফ্রি কিক পেয়ে যায় তারা। কিন্তু নেইমার যে শটটি নেন, তা উড়ে যায় মেক্সিকোর গোলবারের উপর দিয়ে।

সব মিলিয়ে প্রথমার্ধ ব্রাজিলের পক্ষে থাকলেও মেক্সিকো একেবারে খারাপ করেনি। দুই দলই ক্ষণে ক্ষণে কৌশল পরিবর্তন করেছে এবং নিজেদের শক্তির উপর ভরসা করে এগিয়েছে। প্রথমার্ধে ৫২ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিলো ব্রাজিলের। মেক্সিকোর সেখানে ছিলো ৪৮ শতাংশ। ম্যাচ শেষে বল দখলের লড়াইয়ে মেক্সিকোর অংশ ছিলো ৫১ শতাংশ আর ব্রাজিলের ৪৯। কিন্তু ফলাফলে এর কোনো প্রভাবই পড়েনি।

সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার স্মৃতি নিয়ে ম্যাচটি খেলতে নামে ব্রাজিল। তারা সর্বশেষ হেরেছিলো ২০১৭ সালের জুনে, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত এবং বিশ্বকাপে এসেও তাদের আর কোনো হার হজম করতে হয়নি।

বিশ্বকাপের শুরুর দিকে কিছুটা নড়বড়ে ছিলো ব্রাজিল। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ড্র করলেও ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে তারা। এর মধ্যে মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ব্রাজিলের অনুপ্রেরণা হয়ে আসে, সর্বশেষ চার মুখোমুখি লড়াইয়ে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাদের না হারার রেকর্ড। এমন কি এই চার ম্যাচে মেক্সিকো হজম করেছে ১১ গোল, দিতে পারেনি একটিও।

সে হিসেবে মেক্সিকোর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুপ্রেরণার কোনো অভাবই ছিলো না ব্রাজিলের। তারপরও তাদের হয়তো কিছুটা মন খারাপ ছিলো মার্সেলোর জন্য। সার্বিয়ার বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়া এই নায়ককে ছাড়াই খেলতে হয় ব্রাজিলের। ম্যাচ শেষ নিশ্চয় সেই মন খারাপের ছিটেফোটাও আর ছিলো না নেইমারদের মনে!

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.