সাম্পাওলি কী তাহলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত?

গ্রুপ পর্ব থেকেই ধুঁকতে থাকা আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে গিয়ে কাটা পড়েছে। রক্ষণ দুর্বলতার পাশাপাশি এমন বিদায়ের জন্য কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকেই বেশি দায়ী করছেন আর্জেন্টাইনরা। সাম্পাওলির কৌশলের জন্য ’মার খেয়েছে’ আর্জেন্টিনা মনে করছেন প্রায় সবাই।

সাম্পাওলির কৌশল অবশ্য ‘মার খাওয়ার’ মতোই। এখন পর্যন্ত তার অধীনে ১৫টি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। এই ১৫ ম্যাচে একটিতেও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামেনি লিওনেল মেসিরা। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচেই একাদশে পরিবর্তন এনেছেন সাম্পাওলি। তাছাড়া পাওলো দিবালার মতো প্রতিভাবান তরুণকে একেবারে উপেক্ষা করে গেছেন তিনি। এসবে দলের বড় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনার সিনিয়ররা।

মেসি-আগুয়েরোসহ আর্জেন্টিনার সিনিয়র ফুটবলাররা এতোটাই নাখোশ যে বিশ্বকাপ চলাকালেই সাম্পাওলিকে ছাঁটাই করার দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনা কোচের চেয়ারে সম্পাওলি। থাকবেন হয়তো আরও অনেকদিন!

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) ভেতরের খবর ফেডারেশনের অনেকেও চাইছেন না সাম্পাওলিকে। কিন্তু তাকে বিদায় করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। কারণ সাম্পাওলির ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি আর্জেন্টিনার। এখন এই চুক্তি ভেঙে তাকে বরখাস্ত করতে হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে এএফএ’কে। জরিমানার অঙ্কটা প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। আর্থিক দূরবস্তার মধ্যে এই মুহূর্তে এতো বড় অঙ্ক পরিশোধ করার সাধ্য নেই এএফএ’র।

কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, লিওনেল মেসি নিজের পকেট থেকে ফেডারেশনের কর্মীদের বেতন পরিশোধ করেছেন। অর্থাৎ বেতন দেওয়ার অর্থও নেই এএফএ’র কাছে! এই কারণেই হয়তো টিকে যাচ্ছেন সাম্পাওলি।

তবে চুক্তি শর্ত মতে ২০১৯ সালের ব্রাজিল কোপা আমেরিকার পর ক্ষতিপূরণের অঙ্ক অনেকটাই কমে আসবে। তখন সাম্পাওলিকে ছাঁটাইয়ের একটা উদ্যোগ দিতে পারে আর্জেন্টিনা। তার আগে তাকে হয়তো ‘সহ্য’ করতেই হবে! সাম্পাওলিকে সহ্য না করার আরেকটা পথও খোলা আছে। দলের ও মানুষের দাবি বুঝে নিজে থেকেই যদি সরে দাঁড়ান সাম্পাওলি তবেও ’ল্যঠা’ চুকে যেতে পারে।