ফাইনালে চোখ মডরিচের

নকআউট পর্বে আরো একটা অগ্নিপরীক্ষা। ডেনমার্কের পর এবার স্বাগতিক রাশিয়া বাধা টপকে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে ক্রোটরা। তবে এখানেই থামতে নারাজ ইউরোপের দলটি। আরো দূরে এগিয়ে যেতে চান মডরিচ-রাকিটিচরা।

অবশ্য দুর্দান্ত খেললেও রাশিয়ার কাছে অগ্নিপরীক্ষাই দিতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। ২-২ গোলের ড্রয়ের পর শেষ পর্যন্ত ভাগ্য নির্ধারণী খেলা টাইব্রেকারে বাজিমাত করে ক্রোটরা। ক্রোট অধিনায়ক মনে করেন ম্যাচটা আরো আগেই শেষ করে দেওয়া উচিৎ ছিল তাদের।

শনিবার ম্যাচ শেষে মডরিচ বলেছেন, ‘আমরা দ্বিতীয়ার্ধে এবং অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলেছি। ম্যাচের অধিকাংশ সময় আধিপত্য ছিল আমাদের। তবে টাইব্রেকারের আগেই আমাদের ম্যাচটা শেষ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু আমাদের ওখানে নিয়ে গেছে। হয় তো জয়টা এমন নাটকীয়ভাবেই লেখা ছিল।’

সোচিতে ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়াই। সেখান থেকে দারুণভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা দলটি। এই প্রত্যাবর্তনে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মডরিচ। পুরো মাঠ দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। অবধারিতভাবে কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের নায়ক এই মডরিচই।

কিন্তু ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাওয়ার কোনো উচ্ছ্বাস নেই ক্রোট অধিনায়কের। দল জিততে পেরেছে তাতেই খুশি তিনি। এই মডরিচ স্বপ্ন দেখছেন আরো কিছুর, ‘আমাদের দল সেমিফাইনালে উঠেছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বড় একটা ধাপ পাড়ি দিয়েছি। আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আরো কিছু করতে হবে। আমরা ফাইনালে খেলতে চাই।’

স্বপ্নের মঞ্চে নাম লেখাতে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবটুকু নিংড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঝরল ক্রোট অধিনায়কের কন্ঠে, ‘আমরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে সবটা উজার করে খেলব। চেষ্টা করব ওদের বিপক্ষে সেরা ম্যাচটা খেলার। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমাদের সামনে মাত্র দুটি ম্যাচ আছে।’

ফেভারিট বেশ কয়েকটা দলই ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে। মডরিচের কাছে এই আসরে কোনো দলকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই, ‘সব ম্যাচই সমান সমান। আপনকে লড়তে হবে। এখানে কোনো ফেভারিট দল নেই। আপনি দেখেছেন বড় দলগুলো দেশে ফিরে গেছে।’