ফ্রান্সকে ভয় পায় না বেলজিয়াম

কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়ে বেলজিয়ামের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। তবে এক চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করলেও বেলজিয়ানদের সামনে এখন আরেক চ্যাম্পিয়নরা। মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে ইউরোপের কালো ঘোড়াদের প্রতিপক্ষ ১৯৯৮ বিশ্বজয়ী দল ফ্রান্স। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে রাত ১২টায়।

শেষ ষোলোতে জাপানের বিপক্ষে ৬৮ মিনিট পর্যন্ত দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জয় তুলে নেয় বেলজিয়াম। পরের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্রাজিলের পথচলা থামিয়ে দিয়েছে ইউরোপিয়ান জায়ান্ট দলটি। এই জয় দুটি আরো সাহসী করে তুলেছে কালো ঘোড়াদের। তাই এখন আর কাউকে নিয়ে ভাবছে না বেলজিয়াম।

সোমবার দলের প্রধান কোচ রবার্তো মার্টিনেজ ফ্রান্সের বিপক্ষে ডর-ভয়হীন ফুটবল খেলার ঘোষণা দিলেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা নির্ভয়ে খেলব। যদি ভয় নিয়ে এই ম্যাচটা খেলি তাতে আমাদেরই ক্ষতি হবে। ওদের (ফ্রান্স) সঙ্গে সাহসী ফুটবল খেলতে হবে আমাদের।’

৩২ বছর পর সেমিফাইনালে ওঠা বেলজিয়ামের চোখ এখন শিরোপায়। স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে শিষ্যদের একদল হয়ে খেলার নির্দেশ দিয়েছেন বেলজিয়াম কোচ মার্টিনেজ, ‘আমাদের সামনে আরো গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ আছে। সফল হতে হলে প্রথম ম্যাচ থেকেই আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। আমার বিশ্বাস এ ধরণের টুর্নামেন্টে দলীয় পারফরম্যান্স ছাড়া সাফল্য সম্ভব নয়।’

সেমিফাইনাল মহারণের আগে বেলজিয়ামের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি উঠতি তরুণের দুর্দান্ত ফর্ম এবং চিতার গতি ভাবিয়ে তুলছে মার্টিনেজকে। তাহলে কীভাবে এই গতি প্রতিরোধ করতে হবে? এমন প্রশ্নে বেলজিয়ান কোচের উত্তর, ‘এটার উত্তর দেওয়া সহজ নয়। কারণ পাল্টা আক্রমণে এমবাপ্পে সবসময়ই ভয়ঙ্কর। পরিস্থিতি বুঝে ও ওর কৌশলও বদলে ফেলে।’

১৯ বছর বয়সী এই ‘স্পিডম্যান'-কে ঠেকানোর জন্য ডিফেন্ডার টমাস ভারমালিনকে একাদশে রাখছেন মার্টিনেজ। বেলজিয়ান তারকাও জানেন না কীভাবে আটকাতে হবে এমবাপ্পেকে। ভারমালিন বলেছেন, ‘এমবাপ্পে খুব গতি সম্পন্ন খেলোয়াড়। যে কোনো সময় তিনি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন। আমার কাছে ফ্রান্স দলের সেরা তিনিই। কীভাবে তাকে আটকাতে হবে সেটা আমার জানা নেই।’

ভারমালিন সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘ব্রাজিল ম্যাচের চেয়েও ফ্রান্স ম্যাচ কঠিন হবে। আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে ওঠা, শিরোপা জেতা। যদি এটা না পারি সেটা হবে আমাদের জন্য খুব হতাশার। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আমরা এখান থেকে ফিরতে চাই না।’