ফাইনালে রাকিটিচ-এমবাপ্পেকে নেইমারের যে পরামর্শ

শেষ প্রান্তে আসা রাশিয়া বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের কাছে শেষ হয়ে গেছে সেলেকাওদের হেক্সা (ষষ্ঠ শিরোপা) মিশন। দেশকে স্বপ্ন দেখিয়েও ব্যর্থ সৈনিক হিসেবে রাশিয়া থেকে শূন্য হাতে ফিরে গেছেন নেইমার।

তবে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ব্যর্থ হলেও অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ফাইনালে উঠে গেছেন ক্লাব ক্যারিয়ারে তার বর্তমান ও প্রাক্তন সতীর্থ। আজ রাতে মস্কোর ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন নেইমারের দুই বন্ধু ইভান রাকিটিচ ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দুই দলের কোনো দলকেই অবশ্য সরাসরি সমর্থন দেননি বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাকিটিচের পাশে আছেন তিনি। কিন্তু সাবেক ও বর্তমান দুই সতীর্থকেই শুভ কামনা জানিয়েছেন নেইমার। এমবাপ্পে-রাকিটিচকে ফাইনালটা উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বার্সেলোনা অধ্যায়ে রাকিটিচের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে নেইমারের। সেই সম্পর্কটা ফিকে করে এক বছর আগে ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন পাড়ি জমিয়েছেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। এমবাপ্পেকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাব ফুটবলের গত মৌসুমে সবেচেয়ে ভয়ঙ্কর জুটি বেঁধেছিলেন নেইমার।

বর্তমান ও প্রাক্তন সতীর্থদের জন্য নেইমারের বার্তা- ‘তোমাদের দুজনের জন্যই আমি খুশি। রোববারটা (আজকের রাত) ভালোভাবে উপভোগ করো। এটা ভাবো যে, ফাইনালের ফল যেটাই হোক, তোমরা নিজেদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রমাণ করেছো। তোমরা দুজনই আমার বন্ধু। এটা ভাবতেই আমার গর্ব হচ্ছে।’

মস্কোর স্বপ্নের মঞ্চে ওঠার আশা ছিল নেইমারেরও। কিন্তু সেটার সমাধী হয়ে গেছে শেষ আটে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হারায়। স্বাভাবিকভাবেই ওই হারটা এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে নেইমারকে, ‘আমাদের সামর্থ্য ছিল, সবকিছু অনুকূলে ছিল। আমরা ইতিহাস গড়তে পারতাম। কিন্তু এভাবে বিদায় নেয়াটা আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত। কষ্টটা বেশি হচ্ছে এই কারণে যে, আমাদের দলটার ফাইনালে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি।’

টানা দুই বিশ্বকাপ খেলেও ফাইনালে উঠতে না পারার হাহাকারটা ঠিকই তুলে ধরেছেন নেইমার। বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমি মানছি, আজ আমিও তোমাদের (রাকিটিচ-এমবাপ্পে) মতো ওখানে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এবার হলো না। দেখা যাক পরেরবার কী হয়। আসলে এ রকম একটা ধাক্কা খাওয়ার পর ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়ার শক্তি ফিরে পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ঈশ্বর আমাকে আরো কিছু মোকাবেলার শক্তি দেবেন।’