নেইমারের ‘নীরব প্রতিবাদ’

রাশিয়া বিশ্বকাপে অধিনায়ক নির্বাচনে চমক দেখিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। প্রতিটি ম্যাচেই সেলেকাওদের দেখা গেছে ভিন্ন নেতৃত্বে। বারবার দলনেতা বদলানোর সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছেন ব্রাজিলিয়ান কোচ। দলের সেরা ফুটবলার নেইমারের কাঁধে তিতে তুলে দিয়েছেন নেতৃত্বের জোয়াল।

ব্রাজিলের অধিনায়কের ভূমিকায় আগেও দেখা গেছে নেইমারকে। মাঝে লম্বা বিরতি দিয়ে সেনাপতির দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন করলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। শনিবার ভোরে নিউ জার্সিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নতুন যাত্রা শুরু করবেন পিএসজি ফরওয়ার্ড। অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচটির রোমাঞ্চ এখনই ছুঁয়ে যাচ্ছে নেইমারকে।

বৃহস্পতিবার প্রীতি ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আবারো আমি দলের দায়িত্ব নিলাম। নেতৃত্বে থাকাবস্থায় আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং আরো অনেক কিছু শিখব। এই দায়িত্ব আমার জন্যই ভালো। অধিনায়ক হওয়ায় দায়িত্বটা আরো বেড়ে গেছে। কিন্তু ভালো খেললে দায়িত্ববোধের কোনো দরকার পড়ে না।’

ষষ্ঠ শিরোপা স্বপ্নে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেলেকাওদের ‘হেক্সা মিশন’ থেমে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দলের এই ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন নেইমার।

সংবাদ সম্মেলনে তিতের পাশে বসেই পিএসজি স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের প্রতি সমর্থকদের ও দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল। আমাকে পছন্দ করেন এমন অনেক সমর্থকও আছেন। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ হারটা কারোরই পছন্দ নয়। তবে আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। কিন্তু আমরা তা পারিনি।’

ব্রাজিলের বিদায়ের পাশাপাশি ব্যক্তি নেইমারও আলোচনায় ছিলেন ডাইভ বিতর্ক নিয়ে। এনিয়ে সমালোচকদের তিরে বহুবার বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নেইমারের ভাষ্য, ‘আমি অনেকেরই লক্ষ্যবস্তু ছিলাম। (বেলজিয়াম) ম্যাচের পর আমি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। তাই নীরব থাকাটাই আমার প্রতিবাদ ছিল। বিশ্বকাপের সময় আমি যথেষ্ঠ ফাউলের শিকার হয়েছিলাম। যা আমার জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকল।’