নেইমার-সালাহদের ভরপুর ফুটবলে শেষ হাসি লিভারপুলের

একপাশে নেইমার অন্যপাশে মোহাম্মদ সালাহ। নেইমারের সঙ্গে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, এডিনসন কাভানি, অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়ারা। আর সালাহর সঙ্গে ছিলেন সাদিও মানে, ফিরমিনো, স্টারিজ। জমজমাট একটা লড়াই হবে সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল, হলোও তাই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম দিনে গতরাতে লিভারপুল-পিএসজির মাঠের লড়াই চোখ জুড়িয়ে দিয়েছে। জমজমাট লড়াইয়ের এই ম্যাচে শেষ হাসি লিভারপুলের।

বদলি হিসেবে নামা রবের্তো ফিরমিনোর যোগ করার সময়ের গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় পেয়েছে পিএসজি। চোখের সমস্যার কারণে খেলারই কথা ছিল না তার। কিন্তু শেষ দিকে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে নামিয়ে বাজি জিতেন লিভারপুল কোচ ইয়ূর্গেন ক্লাপ। তাতেই পূর্ণ তিন পয়েন্টের নিশ্চয়তা মিলে ইংলিশ দলটির। লিভারপুলের হয়ে বাকি দু্ই গোল করেছেন ড্যানিয়েল স্টারিজ ও জেমস মিলনার। পিএসজির হয়ে গোল দুটি করেছেন মিউনিয়ের ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।

নেইমার কিংবা মোহাম্মদ সালাহ কেউই গোল পাননি এদিন। তবে দুজনই খেলেছেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে নেইমার পিএসজির জার্সি গায়ে বাঁ-প্রান্ত থেকে চোখে লেগে থাকার মতো ফুটবল খেলেছেন। কিলিয়ান এমবাপ্পের করা গোলটি তারই বানিয়ে দেয়া। বাঁ-প্রান্ত থেকে আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছেন ব্রাজিল সুপারস্টার। কিন্তু সেটা দলকে জেতাতে পারেনি।

ঘরের মাঠে খেলার যে সুবিধা তা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে লিভারপুল। বলের দখলও বেশি ছিল ইংলিশ ক্লাবটির। ৫২ শতাংশ বলের দখল ধরে রেখে গোল লক্ষ্যে ৭টি শট নিয়েছে লিভারপুল। অপর দিকে পিএসজি গোললক্ষ্যে শট নিতে পেরেছে ৫টি। ম্যাচের প্রথম গোলটিও লিভারপুলের। ৩০ মিনিটে স্টারিজের গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটি। জেমস মিলনে পেনাল্টি গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ৩৬ মিনিটে। চার মিনিট পরই অবশ্য পিএসজির হয়ে গোল করেন মিউনিয়ের, ব্যবধান ২-১।

৮৩ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করলে (২-২) মনে হচ্ছিল ফরাসি আর ইংলিশ ক্লাবটির লড়াইয়ে পয়েন্ট বুঝি ভাগাভাগি হচ্ছে। কিন্তু রবার্তো ফিরমিনো যোগ করা সময়ে (৯৪ মিনিটে) গোল করে সেই আন্দাজ মিথ্যা করে দেন। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।