ম্যানইউর অবিশ্বাস্য জয়

ঘড়ির কাঁটা সবেমাত্র দুই অংক ছুঁয়েছে। তাতেই দিশেহারা হয়ে পড়ল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতে দুই গোল হজম করে বসল হোসে মরিনহোর দল। রেড ডেভিলসদের আরেকটি হারের শঙ্কায় পেয়ে বসেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই ম্যাচের চিত্রটা পাল্টে দিয়েছে স্বাগতিক শিবির।

শুরুতে কোণঠাসা হয়ে পড়া ম্যানইউ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনই করল দ্বিতীয়ার্ধে। নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে দুই গোল ফিরিয়ে দিয়েছে মরিনহোর দল। ম্যাচের শেষ দিকে অ্যালেক্সিস সানচেজ করলেন বহুল প্রত্যাশিত জয়সূচক গোল। শনিবার রাতে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের পর ম্যানইউ জিতল ৩-২ গোলে।

দুর্দান্ত এই প্রত্যাবর্তনে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চার ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই জয়ের ফলে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাসই ফেললেন দলের প্রধান কোচ মরিনহো। রীতিমতো তার চাকরি নিয়েই সংশয় দেখা গিয়েছিল। অবশেষে জ্বলে উঠেছেন পর্তুগিজ কোচের শিষ্যরা।

নাটকীয় জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে উঠে এলো মরিনহোর দল। আট ম্যাচে তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে ১৩ পয়েন্ট। সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। সিটি অবশ্য গোল গড়ে এগিয়ে আছে। তিনে থাকা টনেহামের পয়েন্ট ১৮।

গতকাল পাহাড়সম চাপ নিয়ে পরিচিত দর্শকদের সামনে খেলতে নেমেছিল ম্যানইউ। মাঠে নামার শুরুতেই লেগে যায় দুর্দশা। চার মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে হচকচিয়ে ওঠে রেড ডেভিলসরা। সাত মিনিটে ডি-বক্সে কোনাকুনি শটে ম্যানইউর জাল কাঁপিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ড স্তব্ধ করে দেন নিউক্যাসলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কেনেডি (১-০)।

এই গোলের উচ্ছ্বাসের রেশটা থাকতেই স্কোর লাইন ২-০ করে বসেন ইয়োশিনোরি মুতো। প্রিমিয়ার লিগে জাপানি তারকার এটাই প্রথম গোল। দুই গোল খাওয়ার পরও যেন ম্যানইউর ঘুম ভাঙল না। স্বাগতিকরা গর্জে উঠল দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে। ৭০ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ব্যবধান কমান স্প্যানিশ তারকা হুয়ান মাতা (২-১)।

৭৬ মিনিটে ফ্রেঞ্চ জুটির সৌজন্যে সমতায় ফেরে ম্যানইউ (২-২)। পল পগবার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে নিউক্যাসলের জালে বল পাঠান ফ্রেঞ্চ ফরওয়ার্ড অ্যান্তনিও মার্শিয়াল। ম্যাচটা ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। তাতে বাধ সাধলেন বদলি স্ট্রাইকার সানচেজ।

৯০ মিনিটে মার্সিয়ালের দুর্দান্ত ক্রসে মাথা ছুঁয়ে ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন চিলিয়ান সেনসেশন (৩-২)। এই গোলের সুবাদে তিন ম্যাচ পর ইংলিশ লিগে জয়ের মুখ দেখল ম্যানইউ। দলটির পর্তুগিজ কোচ মরিনহো-ও যেন বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। আপাতত চাকরির দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না তাকে!