বিরতির আগেই স্পেনের জালে ইংল্যান্ডের তিন গোল। স্প্যানিয়ার্ডদের ভাগ্যে কী আছে তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। দ্বিতীয়ার্ধেই পাল্টে গেল দৃশ্যপট। বিরতির পর দারুণ একটা প্রত্যাবর্তন করেছে ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

england beat spain

কিন্তু তাতেও লাভ হলো না্। হার ঠেকাতে পারেনি স্পেন। সোমবার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে ২-৩ গোলে হেরে গেছে তারা। এই জয়ে মধুর একটা প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেল ইংলিশদের। গত মাসে নিজেদের মাঠেই যে লা রোজাদের কাছে হারতে হয়েছিল থ্রি লায়নদের।

উয়েফা নেশনস লিগে এটা ইংল্যান্ডের প্রথম জয়। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লিগের গ্রুপ-৪ এর দুইয়ে আছে ইংলিশরা। তবে হারলেও ছয় পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে আছে স্পেন। এক পয়েন্ট পুঁজি করে লিগ তালিকার তিনে আছে রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া।

ম্যাচের শুরুটা ছিল জমজমাট। পাঁচ মিনিটেই ইংলিশদের বিপদসীমা কাঁপিয়ে দিয়েছিল স্পেন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করেছিলেন মার্কোস আলোনসো। কিন্তু স্প্যানিশ তারকার মাথাস্পর্শি বলটা গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

ম্যাচে স্প্যানিশদের আধিপত্য এখানেই শেষ। শুরু হলো ইংল্যান্ডের গোল উৎসব। একবার-দুবার নয়, ৩৮ মিনিটের মধ্যে তিন তিনবার গোল উদযাপন করে ফেলে ইংলিশরা। তন্মধ্যে দুটিতেই অ্যাসিস্ট করেছেন হ্যারি কেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক রহিম স্টার্লিং এবং মার্কাস রাশফোর্ডকে দিয়ে গোল দুটি করিয়েছেন।

তিন বছর ও ২৭ ম্যাচ পর ইংল্যান্ডের জার্সিতে স্টার্লিং পেলেন গোলের দেখা। একটি নয়, দুটি। তার দুই গোলের মাঝেরটি করেছেন তরুণ ফরওয়ার্ড রাশফোর্ড। শুরুতে বিপদসীমার পর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়টা বিরতির পরই সামলে নিয়েছে স্বাগতিক স্পেন।

৫৮ মিনিটে মার্কো অ্যাসেনসিওর কর্নারে থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান পাকো আলকাসের (৩-১)। এই গোলের সুবাদে লড়াইয়ে ফেরার একটা আভাসই দিয়েছিল লা রোজারা। সেটা থেকে গেলে ওই পর্যন্তই। তবে মুহুর্মুহু আক্রমণে ঠিকই ইংলিশদের রক্ষণদুর্গকে তটস্থ করে রাখে স্পেন।

কিন্তু ২৩টি আক্রমণের মাত্র পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারল স্প্যানিয়ার্ডরা। গোলমুখে থাকা শটগুলো আবার রুখে দিয়েছেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। অবশেষে ইনজুরি টাইমের সপ্তম মিনিটে স্বস্তির দ্বিতীয় গোলটি পেয়েছে স্পেন। হেড থেকে স্কোর লাইন ৩-২ করেন স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও রামোস।

স্পেন দ্বিতীয় গোলটা পেতে পারতো অ্যাসেনসিওর সৌজন্যেই। ভাগ্য সহায় না থাকায় তা হয়নি। স্প্যানিশ তরুণ ফরওয়ার্ডের হেডটা ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। সেই দুঃখ কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দিয়েছেন রামোস পরের মিনিটেই হেডে গোল করে। কিন্তু হার ঠেকাতে তাও যথেষ্ট ছিল না।

অথচ এমন ম্যাচে মাত্র ২৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে ইংল্যান্ড! সুযোগ বুঝেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে স্পেনের প্রায় নাজেহাল অবস্থা করে ছেড়েছিলেন গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। রাশফোর্ড-স্টার্লিংদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩১ বছর পর স্পেনের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারল ইংল্যান্ড।

অন্যদিকে, দেড় দশক পর ঘরের মাঠে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারল স্পেন। এর আগে ঘরের মাঠে টানা ৩৮ ম্যাচ অজেয় থাকার গৌরব ছিল লা রোজাদের। তাদের অজেয় সেই তকমাটা তুলে ফেলল তারুণ্যের ইংল্যান্ড।

একনজরে ফলাফল

স্পেন ২-৩ ইংল্যান্ড
বসনিয়া হার্জেগোভিনা ২-০ নর্দান আয়ারল্যান্ড
এস্তোনিয়া ৩-৩ হাঙ্গেরি
ফিনল্যান্ড ২-০ গ্রিস
বেলারুশ ০-০ মলডোভা
লুক্সেমবর্গ ৩-০ সান মারিনো
আইসল্যান্ড ১-২ সুইজারল্যান্ড

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.