আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তবে বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহ বেড়ে যাবে কাল থেকে। কালই মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কালই প্রথম মাঠে নামবেন সাকিব। আইপিএল শুরু করার আগে গতকাল ভারতীয় একটি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব। কথা বলেছেন নানা প্রসঙ্গে। জানিয়েছেন, জাতীয় দলের পর সবচেয়ে বেশি যে দলে তিনি খেলেছেন; সেটা কলকাতা নাইট রাইডার্স। কলকাতার মানুষ যে নিজেদের লোক মনে করেন, তাও বলেছেন সাকিব।

shakib feels kolkata as home

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা হতাশার ছিলো। তারপরও যদি প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশ কী শিখেছে, কী বলবেন?
প্রতিটি ম্যাচই আসলে শেখার সুযোগ। এটা সত্য যে, বিশ্বকাপে আমরা প্রত্যাশিত ফলাফল পাইনি। তারপরও আমি বলবো না যে, বিশ্বকাপ হতাশার ছিলো। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমরা যদি অন্তত দুইটা বা একটা ম্যাচও জিততে পারতাম, দলের চেহারা অন্য রকম হতো। ম্যাচের রূপ বদলে দিতে পারে, এ রকম পরিস্থিতি টি-টোয়েন্টিতে বেশি আসে; সে সময় মুহূর্ত থেকে প্রচুর শিখতে হবে।

২০১৫ বিশ্বকাপে ভালো খেলার পর দেশের সমর্থকদের চাহিদা বেড়ে গেছে। ব্যাপারটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
আমরা জানি যে, যতো ভালো খেলবো প্রত্যাশা ততো বাড়বে। ব্যাপারটাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা উচিত নয়। আমাদের সামর্থ্য আছে বলেই সমর্থকরা বেশি চায়- এভাবে চিন্তা করতে হবে। আমরা সমর্থকদের চাহিদাকে ইতিবাচকভাবেই দেখি।

মাঠে ও মাঠের বাইরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েই চলছে। আপনি এটা কীভাবে দেখেন?
আমার মনে হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারটা মাঠের বাইরেই বেশি। মাঠের খেলায় উভয় দলই জানে যে, যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। দুই দলই তাই ভালো খেলার চেষ্টা করে। আমার মনে হয় না কেউ এরচেয়ে বেশি ভাবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয় মূলত দর্শকদের কারণে অথবা মিডিয়ার সৃষ্টি করা উত্তেজনার কারণে।

বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে এক রানে হারার ম্যাচে শেষ কয়েক মিনিটের বিষয়ে কী বলবেন?
পরপর দুটি চার মেরে মুশফিক ভাই আউট হওয়ার পর আমার মাথায় একটা বিষয়ই এসেছে, যেভাবেই হোক রিয়াদ ভাইকে একটা সিঙ্গল নিতেই হবে। সেটা যদি তিনি নিতে পারতেন, তাহলে শেষ বলে হয়তো আমরা জিততে পারতাম। অন্তত ম্যাচটা টাই-ও হতে পারতো। ক্রিকেট আসলে এমনই।

দুই বছর আগে বোর্ডের সঙ্গে বড় একটা ঝামেলা হয়েছে আপনার। ওই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উঠে এসেছেন?
ওই পরিস্থিতিতে প্রচুর মানসিক শক্তির দরকার ছিলো। তখন আমার স্ত্রী, বাবা-মা এবং বন্ধুরা আমাকে খুব সমর্থন দিয়েছে। ওই সমর্থন না পেলে আজকে হয়তো এখানে আসতে পারতাম না। তারা আমাকে বলতো, আমি আবার আগের জায়গায় ফিরতে পারবো।

কলকাতা নাইট রাইডার্স আপনার কাছে নিশ্চয় বিশেষ কিছু। সেটা কীভাবে হলো?
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এখানে আমি বাংলাদেশের মতোই থাকি। জাতীয় দলের পরে কলকাতাই দ্বিতীয় দল, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে খেলছি। এখানে আমরা এক ভাষায় কথা বলি, একই সংস্কৃতি চর্চা করি এবং একই আবহাওয়ায় থাকি। ভারতের অন্যান্য প্রদেশের ক্রিকেটারদের কলকাতা আসতে যতক্ষণ লাগে, ঢাকা থেকে আসতে আমার তার চেয়েও কম সময় লাগে! তবে এখানে একটা বিষয় আলাদা, সেটা হলো কলকাতায় আমি বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে খেলি। এখানে বাইরে গেলে সবাই নিজেদেরই লোকই মনে করে।

kolkata thinks shakib their own man

কলকাতা নাইট রাইডার্স সুপারস্টারদের দল নয়। আপনার কি মনে হয় এই ফর্মুলা এখনো কার্যকর?
এই দলে হয়তো সুপার স্টার নেই। তবে সবাই দল অন্তপ্রাণ। এটাই আমাদের শক্তি। সবাই নিজেদের শতভাগ উজার করে খেলে। আমরা দলের সবাই সবার কাছে আসলে এটাই চাই।

আপনি কি সাত নম্বরে ব্যাটিং করা নিয়ে খুশি?
দলের যেখানে প্রয়োজন, আমি আসলে সেখানেই খুশি। আমি যতোটুকু সম্ভব বেশি অবদান রাখার চেষ্টা করি। আর সব ম্যাচে তো আমাকে সাত নম্বরে পাঠানো হয় না। কখনো কখনো চার নম্বরেও আমি নামি। এ বিষয়ে খুব একটা চিন্তা করি না।

নারিনের বোলিং বৈধতা পেয়েছে। নারিনকে পেয়ে দল কতোটা আত্মবিশ্বাসী?
আমি সব সময় নারিনের সঙ্গে কথা বলি। বিশেষ করে ম্যাচের সময় ডাগআউটে বসে ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রচুর আলোচনা হয়। আমরা যে দুটি শিরোপা জিতেছি, তাতে ওর কিন্তু অনেক অবদান। নারিনের উপস্থিতি দলকে অনেক অনুপ্রাণিত করছে। আমার তো মনে হয়, নারিনই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে সবচেয়ে ভালো স্পিনার। ওর দলে থাকাটা আমাদের জন্য বেশ সুবিধাজনক ব্যাপার।

দলে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু কারা?
নারিন এবং আন্দ্রে রাসেল। দলের সবাই আমার বন্ধু। তবে যদি দুজনকে আলাদা করতে বলেন, তবে এ দুজনকেই নিবো। ওদের সাথেই ভাবের বিনিময়টা বেশি হয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা কি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কাছে একটু বেশিই জনপ্রিয়?
আসলে এটা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বন্ধুপ্রিয় স্বভাবের কারণে। আমি যদি ওদের কাছে না যাই, ওরা আসে। এই ব্যাপারটাই দারুণ এবং বন্ধুতার জন্ম দেয়।

 

আপনি আরো পড়তে পারেন

আইপিএল অনিশ্চিত যুবরাজের

আইপিএল ২০১৬-এর পূর্ণাঙ্গ সূচি

আইপিএলের মাঝপথেই ফিরতে পারেন সাকিব-মুস্তাফিজ

আইপিএলেও হয়তো দেখা যাবে না মালিঙ্গাকে

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.