আপনি পড়ছেন

বিশেষ কোন উপলক্ষ, উৎসব বা নেহায়েত রুচি বদল যেকোন কারণেই হোক রেস্টুরেন্টে খেতে যান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর তাই ছোট বড় সব শহরেই কম বেশি রেস্টুরেন্ট আছেই। ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠান একশো বছরের বেশি সময় ধরে রেস্টুরেন্টের খাবার ও অন্যান্য দিক বিবেচনায় শেফ ও রেস্টুরেন্টের মার্কিং করে থাকে। যাকে বলে 'মেশিলিন স্টার'। নতুন স্টার দেয়া বা বিগত বছরের স্টার কেড়ে নিয়ে নতুন তালিকা করাই তাদের কাজ। আর সেই তালিকায় উঠে এসেছে বিশ্বের কয়েকটি নামিদামী রেস্তোরাঁর নাম। আজকে আমরা সেই দামী রেস্তোরাঁ সম্পর্কে জানবো।

expensive restaurants

স্পেনের ইবিজা দ্বীপে 'সাবলিমোশন' নামে রেস্টুরেন্টটি বিশ্বের সবচেয়ে দামী রেস্টুরেন্ট। ২০১৪ সালে স্থাপিত ১২ সিটের এই রেস্টুরেন্টে একবেলা খেতে হলে গুণতে হবে বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ষাট হাজার টাকার বেশি। তিন তারকা প্রাপ্ত শেফ ও রেস্টুরেন্টটিতে খাবারের পাশাপাশি পরিবেশ, অত্যাধুনিক গেজেট সুবিধাও পাওয়া যাবে।

সমুদ্রের নিচে 'ইথা আন্ডার সি' রেস্টুরেন্টটিকে মালদ্বীপের সবচেয়ে সুন্দর রেস্টুরেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ। ১৪ সিট সম্বলিত রেস্টুরেন্টে বসলে পানির নিচের পরিবেশ, মাছ, শৈবাল দেখা যাবে। ইউরোপীয় ও এশীয় মিশেলে এক বেলা খাবারের দাম সাতাশ হাজার টাকা বা ৩২০ ডলার।

মাস্টারশেফ গর্ডন রামসে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের চেলসিতে রেস্টুরেন্টের নামও নিজের নামেই। এখানকার বিশেষ এক বোতল রেড ওয়াইনের দামই আঠারো হাজার ডলার। এছাড়াও কমপক্ষে তিনশো ডলার লাগবে এক বেলা খেতে চাইলে।

জাপানের আরাগাওয়া রেস্টুরেন্টটি ২০০৬ সালে সব থেকে দামী রেস্টুরেন্ট ছিল। তবে এখনো দামী রেস্তোরাঁর তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে এটি। একবারে মাত্র ২২ জন অতিথি আপ্যায়ন করতে পারা যায় এটিতে। স্যালমন বা স্যান্ডা বিফের জন্য বিখ্যাত জাপানের কোবে বিফে খেতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে ৩৪১ ডলার।

তিন তারকা প্রাপ্ত শেফের যুক্তরাষ্ট্রীয় মাসা রেস্তরাঁটি অভিনব। কোন খাদ্য তালিকা না থাকলেও অতিথিদের জন্য তাজা খাবার পরিবেশন করা হয় বলে তিন ঘন্টা আগেই অর্ডার করতে হয় এখানে। খরচ হবে সাড়ে তিনশো ডলার, বাতিল করলেও দিতে হবে দুশো ডলার।

ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী মেশন পিকের কর্ণধার এনে সোফি পিক নিজেও মেশনের তিন তারকা প্রাপ্ত ইতিহাসের চতুর্থ নারী শেফ। বিংশ শতকের খাবারের স্বাদ পেতে এখানে আপনাকে গুণতে হবে ৪৪৫ ডলার। ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত 'লে ম্যুরাইস' এ খেতে গেলে ৫২৪ ডলার আপনাকে খরচ করতেই হবে।

স্থানীয় বিখ্যাত খাবারের মেন্যু দিয়ে সাজানো হোটেল 'ডে ভিলি' সুইজারল্যান্ডীয় রেস্তরাঁ। এক বেলা খেতে হলে গুণতে হবে ছাব্বিশ হাজার টাকা। তাই পকেটে টাকা থাকলে আপনিও চেখে দেখতে পারেন সবচেয়ে দামী রেস্তোরাঁর খাবারগুলো।