আপনি পড়ছেন

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা চীন এবং ভারতের। সম্ভবত এরপরের স্থানেই রয়েছে ফেসবুকের জনসংখ্যা। পৃথিবীর জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে ফেসবুকের গ্রাহক সংখ্যাও তেমন বাড়ছে। খ্যাতিমান তারকার ফেসবুক লাইক সংখ্যা দেখে বুঝা যায় তার জনপ্রিয়তা কতটা। আবার রাজনীতিবীদের ফলোয়ার সংখ্যা দেখেও জানা যায় নেতা হিসেবে তার ভক্ত সংখ্যা কত। শুধু ভক্তরাই না, খ্যাতিমান তারকা কিংবা নেতার শত্রুরাও তাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। ফেসবুক ভক্ত সংখ্যায় এগিয়ে এবং প্রভাবশালী বিশ্বের তেমনি ১০ নেতার খোঁজ দেয়া হলো এ পর্বে-

barack obama donald trump and narendra modi

বারাক ওবামা
হোয়াইট হাউজ ও ক্ষমতা ছেড়ে এখন সাবেক হলেও ফেসবুকে জনপ্রিয়তা কমেনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। ওবামার ফেসবুক পেজে লাইক ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ। তার ফেসবুক ফ্যানদের মাত্র ৩০ দশমিক ২ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। বাকি ৮৯ দশমিক ৮ শতাংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। যার মধ্যে রয়েছে ভারতে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে ২ দশমিক ৯ শতাংশ করে। বারাক ওবামা তার প্রথম নির্বাচনী প্রচারে ইন্টারনেটে প্রচারণা চালিয়েও সফল হন। এত তার জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ।

barack obama speech pic

নরেন্দ্র মোদি
ভারতের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি গুজরাটের বড়নগর রেলস্টেশনের চা বিক্রেতা থেকে হয়েছেন থেকে দিল্লির বাদশা। ২০১৪ সালের পর থেকে তার ফেইসবুক ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। তার ফেসবুক পেজের লাইক সংখ্যা চার কোটিরও বেশি। যার ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশই ভারতের। ফেসবুকে মোদি কতটা জনপ্রিয় তা বুঝা যায় তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (ভাজপা) পেজ দেখে। ভারতীয় জনতা পার্টির (ভাজপা) পেজের লাইক সংখ্যা ১ দশমিক ১৫ কোটি, আর ‘আই সাপোর্ট নরেন্দ্র মোদি’ নামের পেজের লাইক সংখ্যা ১ কোটি ২৮ লাখেরও বেশি।

narendra modi india

কুইন রানিয়া
তিনি বিগত ১৮ বছর ধরে জর্ডানের রানি। চার চারটি সন্তানের জননী তিনি। বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে তিনি প্রচারণা চালিয়েছেন গোটা বিশ্ব ব্যাপি। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে রয়েছে তার প্রকাশ্য অবস্থান। তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের কাছ থেকে পেয়েছেন একটি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার। তার ফেসবুক পেজে লাইক সংখ্যা ১ কোটি ১২ লাক্ষ।

queen rania

ডোনাল্ড ট্রাম্প 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নানা সময়ে নানা ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে বেশ আলোচিত বিশ্ব মিডিয়ায়। নাটকিয়ভাবে তিনি হারিয়েছেন প্রভাবশালী লেডি হিলারি ক্লিনটনকে। মুসলিম বিরোধী নানা মন্তব্য করেও তিনি সমালোচিত হয়ে আসছেন। বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পেজের লাইক সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লক্ষ। তার তৃতীয় স্ত্রী ও বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পও ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয়।

donald trump usa

হিলারি ক্লিনটন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো ফেসবুকেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত এই মার্কিন রাজনীতিবিদ। ফেসবুকে তার পেজে লাইকের সংখ্যা প্রায় এক কোটি। তিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার একজন সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হিলারি রডহ্যাম কিনটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফাস্ট লেডি। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল কিনটনের স্ত্রী। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

hilary clinton

মিট রমনি
মার্কিন ব্যবসায়ী ও ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর উইলার্ড মিট রমনি ছিলেন রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তবে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে হেরে গিয়েছিলেন। গভর্নর হিসেবে রাজ্যের নাগরিকদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবীমার আইন চালু করে তিনি প্রশংসিত হন। রমনির দেখানো পথ ধরেই পরবর্তীতে ওবামা ২০১০ সালে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিলের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন সমালোচকরা। ফেসবুকে তার অনুসারী সংখ্যা এক কোটির মতো।

mitt romney

প্রাবোউ সুবিয়ান্তো
২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। তিনি ছিলেন দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল। তবে ফেসবুকে তার ফলোয়ার দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। ফেসবুকে তার অনুসারী প্রায় ৯৫ লাখ। সুহার্তোর প্রায় ৩০ বছরের শাসনামলে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর মেয়ে সিতি হেদিয়াতি সুহার্তোকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাদের ডিভোর্স হয়। তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের অপহরণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ অভিযোগটি তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন।

Prabowo subianto

রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
তুরস্কের ১২তম রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ সাল থেকে টানা এ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি সেনা অভ্যুথান ব্যর্থ করার মাধ্যমে সারা বিশ্বে আলোচিত হন। জনগণ তার সমর্থনে রাস্তায় নেমে এসেছিল। জীবন দিয়ে তারা এরদোগানকে ক্ষমতায় টিকে রাখতে সহায়তা করেছে। এরদোগান ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আর ২০০১ সালে তিনি জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২, ২০০৭, ২০১১ এবং সর্বশেষ ২০১৪ সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয় তার দল। ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফেসবুকে তার ভক্ত সংখ্যা ৮৯ লাখ জন।

erdogan turkey president

নেলসন ম্যান্ডেলা
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর মারা যান নোবেল জয়ী নেলসন ম্যান্ডেলা । তারপরও এই বর্ণবাদবিরোধী নেতার জনপ্রিয়তায় কোন ভাটা পড়েনি। ফেইসবুকে তার নামে থাকা পেইজটিতে ভক্ত সংখ্যা ৮২ লাখ। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি। তার গোত্রের দেওয়া নাম ‘মাদিবা’। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার কারণে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান। তার ২৭ বছরের বন্দী জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি ছিলেন রবেন দ্বীপে।

nelson mandela

অমিত শাহ
তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভাইস ক্যাপ্টেন’ হিসেবে পরিচিত। ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি সভাপতির পদে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবেন। ফেসবুকে তার লাইক সংখ্যা ৭৯ লাখ। তার জন্ম ভারতের গুজরাটে। বর্তমানে তিনি ক্ষমতাসীন বিজিপির গুজরাট মন্ত্রিসভায় একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত।

amit shah india

 

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.