আপনি পড়ছেন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করে মিয়ানমার। নামে গণতন্ত্র চললেও দেশটির নিয়ন্ত্রণ মূলত সেনাবাহিনীর হাতে। ২০১২ সালে গণতন্ত্রের ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে বিশ্ববাসীকে গণতন্ত্র চর্চার ভেলকি দেখালেও লাটাই মূলত সেনাবাহিনীর হাতেই। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালালেও প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো কার্যকর কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে নানা ধরণের হিসাব ও সম্পর্ক কাজ করলেও ‘অস্ত্র বাণিজ্য’ এই নিরবতার পেছনে বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

myanmar armed forces

সম্প্রতি কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা এবং তাদের অস্ত্র আমদানির চিত্র। একটি গ্রাফিক্স চিত্রসহ আল-জাজিরা দেখিয়েছে ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২৬ বছরে মিয়ানমার কোন দেশের কাছ থেকে মোট কি পরিমাণ অস্ত্র কিনেছে। গত ২৬ বছরে মিয়ানমার সরকার সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করেছে চীন, রাশিয়া, ভারত, ইসরায়েল ও ইউক্রেন থেকে।

অস্ত্র কেনার বিনিময়ে এসব দেশকে মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার অর্থ দিচ্ছে মিয়ানমার। ফলে সামরিক দিক থেকে তাদের সাথে মিয়ানমারের মধ্যে এক ধরণের বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোন দেশ থেকে কি পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র কিনেছে মিয়ানমার তা পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো-

সামরিক বিমান ক্রয়:
মিয়ানমার সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে চীনকে। এখন পর্যন্ত চীন থেকে ১২০টি বিমান ক্রয় করেছে মিয়ানমার। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। ৬৪ টি বিমান আমদানি করা হয়েছে রাশিয়া থেকে। এরপরে যথাক্রমে পোল্যান্ড থেকে ৩৫টি, জার্মানি থেকে ২০টি, সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে ১২টি, ভারত থেকে ০৯টি, সুইজারল্যান্ড ০৩ ও ডেনমার্ক থেকে ০১ করে কিনেছে মিয়ানমার।

myanmar arms trade 1990 2016

ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়:
মিয়ানমার সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে রাশিয়া থেকে। মোট ২ হাজার ৯৭১টি ক্ষেপণাস্ত্র এসেছে মস্কো থেকে। ক্ষেপণাস্ত্র কেনার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। ০১ হাজার ২৯টি ক্ষেপণাস্ত্র এসেছে বেইজিং থেকে। আর বেলারুশ থেকে ১০২টি, বুলগেরিয়া থেকে ১০০টি ও ইউক্রেন থেকে ১০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র আমদানি করেছে ইয়াঙ্গুন।

নৌ-তরী ক্রয়:
মিয়ানমারে নৌতরী সরবরাহে এগিয়ে আছে চীন। মিয়ানমার নৌবাহিনীর কাছে ২১টি নৌতরী বিক্রি করেছে দেশটি। আর ভারত ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার বিক্রি করেছে ০৩টি করে ০৬টি নৌতরী। অর্থাৎ মোটা ২৭টি নৌতরী আমদানি করার খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

কামান ক্রয়:
কামান সরবরাহেও এগিয়ে আছে চীন। মিয়ানমারের কাছে ১২৫টি কামান বিক্রি করেছে চীন। এছাড়াও বর্মিজ সেনাবাহিনীর কাছে সার্বিয়া ১২০টি, রাশিয়া ১০০টি, ইসরায়েল ২১টি, উত্তর কোরিয়া ১৬টি ও ভারত ১০টি করে কামান বিক্রি করেছে।

সাঁজোয়া যান ক্রয়:
চীন বিক্রি করেছে ৬৯৬টি, ইসরায়েল বিক্রি করেছে ১২০টি, ইউক্রেন ৫০টি এবং ভারত বিক্রি করেছে ২০টি সাঁজোয়া যান।

এই বৃহৎ অস্ত্র ব্যবসাকে বিবেচনা করে বলা হচ্ছে- চীন, ভারতসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থের বলি হচ্ছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা। আর মানবিক দিক বিবেচনায় সমস্যা ভোগ করছে বাংলাদেশ।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.