রোহিঙ্গাদের ফেরা রুখতে মজবুত হচ্ছে মিয়ানমারের কাঁটাতার!

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা আর গণহত্যায় বিগত এক মাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন কমপক্ষে ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। দেশটির সেনা অভিযানকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী চাপের মুখে রয়েছে সু চি প্রশাসন। এরমধ্যে জানা গেল রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরা বন্ধ করতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া মজবুত করছে মিয়ানমার। অব্যাহত রয়েছে মাইন স্থাপনের বিষয়টিও। রোববারও মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন এক রোহিঙ্গা নারী।

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার শেষ থেকে মিয়ানমার-বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত পথ শুরু, যা শেষ হয়েছে ঘুমধুম এলাকায়। হিসাব অনুযায়ী, দুই দেশের স্থলসীমান্ত পথ মোট ২০৮ কিলোমিটার। এছাড়া টেকনাফ ও উখিয়াসহ নাফ নদীর পানিপথে সীমান্ত ৬৩ কিলোমিটার। স্থলসীমান্তে পুরোটাতেই কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রেখেছে মিয়ানমার। সর্বশেষ খবর হলো, সেই কাটাতার আরো মজবুত করছে দেশটি।

রোববার দুপুরে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্টে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে কাঁটাতারের বেড়া মজবুত করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে পুরনো কাঁটাতার বদলিয়ে লাগানো হচ্ছে নতুন তার। আগে যেসব জায়গা দিয়ে লোকজন আসা-যাওয়ার সুযোগ ছিল সেগুলো নতুন তার দিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, কাঁটাতারের কাঠামোতে বেশ পরিবর্তন এনেছে মিয়ানমার। কম উচ্চতাসম্পন্ন লোহার পিলার সরিয়ে বেশি উচ্চতার পিলার লাগানো হচ্ছে। কেউ যেন সহজেই কাঁটাতার ডিঙ্গাতে না পারে সেজন্য কাঁটাতারগুলো দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থে বাড়ানো হচ্ছে। নতুন উচ্চতা করা হয়েছে ৪/৫ ফুট।

বান্দরবানের তমব্রু এবং ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী ৩৪ ব্যাটেলিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, আমরা খবর পেয়েছি মিয়ানমার কাঁটাতারের বেড়াগুলো শক্তিশালী করছে। কাঁটাতারের বেড়া মেরামত তাদের রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নীতি বা কৌশলও হতে পারে। এদিকে অনেকেই বলছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরা বন্ধ করতেই এমনটা করছে মিয়ানমার।