আপনি পড়ছেন

সৌদি আরবে এখন প্রবল ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে যিনি পরিচিত হয়ে ওঠেছেন তিনি হলেন ৩১ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। অথচ তার নাম সৌদি আরবের বাইরে খুব কম মানুষই জানেন। ২০১৫ সালে তার বাবা যখন সৌদি আরবের বাদশাহ হন, তখন থেকেই মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম আলোচনায় আসতে থাকে।

Muhammad bin salman

গত শনিবার (৪ নভেম্বর) দেশটির নবগঠিত দুর্নীতি দমন পরিষদ ১১ যুবরাজ, দায়িত্বরত ৪ মন্ত্রী এবং ডজনখানেক সাবেক মন্ত্রীসহ অনেকজন রাজনীতিক-কর্মকর্তাকে আটক করার পর মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতার বিষয়টি আলোচনায় আসে।

বিবিসি ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স পদে আসীন করেছিলেন তাঁর বাবা সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাহ সালমান। দেশটির নিয়ম অনুযায়ী ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে যিনি আসীন হন, তিনিই পরবর্তীতে সৌদি আরবের বাদশাহ হবেন।

বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩১ শে আগস্ট। সালমান বিন আব্দুল আজিজের (বর্তমান বাদশাহ) তৃতীয় স্ত্রীর বড় সন্তান হচ্ছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে আইন শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৯ সালে তাকে তাঁর বাবার বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।

২০১৩ সাল থেকে মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তখন তাঁর বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজ রিয়াদের গভর্নর ছিলেন। এ সময় মন্ত্রীর মর্যাদায় ক্রাউন প্রিন্স কোর্টের প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিয়োগ করা হয়।

২০১৫ সালে বাদশাহ সালমান তাঁর উত্তরাধিকার সারিতে পরিবর্তন আনেন। ঠিক এর আগের বছর তাঁর বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজ ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে আসীন হয়েছিলেন।

মোহাম্মদ বিন নায়েফের বাবা নায়েফ বিন আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর সালমান বিন আব্দুল আজিজ ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে আসীন হন। ২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ মারা যাবার পর সালমান বিন আব্দুল আজিজ সৌদি আরবের বাদশাহ হন। তিনি ক্ষমতাসীন হবার পর তাৎক্ষণিকভাবে দুটি সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, তাঁর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা।

তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাবার পরেই ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে শুরু হয় সামরিক অভিযান। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত দুই বছর ধরে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চললেও তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। 

২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে বাদশাহ সালমান তাঁর ক্ষমতার উত্তরাধিকার হিসেবে বেশ নাটকীয় পরিবর্তন আনেন। মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়। মোহাম্মদ বিন সালমানকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

একই সাথে তিনি সৌদি আরবের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন বিষয়ক কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেন। সৌদি আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন।

এক নজরে মোহাম্মাদ বিন সালমানঃ
জন্ম: ৩১ আগস্ট, ১৯৮৫
পুরো নাম: মোহাম্মাদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ
পিতা: সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ
মাতা: ফাহদা বিনতে ফালাহ
স্ত্রী: সারা বিনতে মাশহুর বিন আবদুল আজিজ আল সউদ
পড়াশোনা: আইনে স্নাতক (কিং সউদ ইউনিভার্সিটি)
দায়িত্ব পালন: ক্রাউন প্রিন্স অব সৌদি আরব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, চেয়ারম্যান অব এন্টি করাপশন কমিটি

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.