পিয়ংইয়ং বলছে, পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতেই এশিয়া সফরে ট্রাম্প

দীর্ঘ এশিয়া সফরে বেড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ঘুরে তিনি এখন চীনে। জাপানে নেমে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে বাড়াবাড়ি করলে উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর হওয়ার হুঙ্কার দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকির প্রতিক্রিয়ায় পিয়ংইয়ং বলছে, কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতেই এশিয়া সফর করছেন ট্রাম্প।

উত্তর কোরিয়া বলেছে, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের পাঁয়তারা করছেন। তার সফরটি একটি 'ভবঘুরে' সফর। এই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং একটি পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি করছেন ট্রাম্প।' পিয়ংইয়ংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ট্রাম্পের এই সফরের ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প তার এশিয়া সফরের শুরুতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। সেখানে তিনি উত্তর কোরিয়াকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, 'পিয়ংইয়ং-এর কার্যকলাপে আমেরিকার কৌশলগত সকল ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া না থামলে তাদের ধ্বংস করে ফেলা হবে।'

উত্তর কোরিয়া ধ্বংস করা প্রতিক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সরকারি দলের মুখপাত্র দৈনিক রডং সিনমুন এক সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, 'ট্রাম্প উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি দিতেই দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছেন।'

সম্পাদকীয়তে সিনমুন দাবি করেন, দক্ষিণ কোরিয়া অন্ধভাবে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী নীতি অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, 'অব্যাহতভাবে আমেরিকার বিদ্বেষী তৎপরতা ও চাপ প্রয়োগের পরেও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোন আলোচনায় বসবে না পিয়ংইয়ং।'

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মার্কিন সরকার বারবার উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু পিয়ংইয়ং বলছে, আমেরিকা ও তার মিত্রদের হুমকি-ধামকি বন্ধ না হলে এসব পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমেরিকাকেই আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিয়ংইয়ং।