জাতিসংঘে আবারো বিপক্ষে চীন, হতাশ বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে পাস হওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বাংলাদেশের অনুরোধে মঙ্গলবার ওই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারও চীন বাংলাদেশের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর মিত্রদেশ ভারত ভোট দানে বিরত ছিলো।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ওই বিশেষ অধিবেশনে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। তবে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার হয়তো ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ করছে। রেজ্যুলিউশনটিতে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়নের একটি তালিকা রয়েছে। শিশুহত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নসহ ঘর ছাড়তে বাধ্য করার মতো বিষয়েরও উল্লেখ আছে তাতে।

মঙ্গলবার জেনেভায় কাউন্সিলের ২৭তম বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশের আনা প্রস্তাবটির উপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের মধ্যে ৩৩-০৩ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৩টি আর বিপক্ষে তিনটি।

চীন, ফিলিপাইন ও পূর্ব আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডি বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয় নি। আর বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত ‍দুই দেশ ভারত ও জাপানসহ মোট নয় সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে।

প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এত অল্প সময়ের মধ্যে এতজনের দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে একমাত্র ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যার সময়ে ঘটা দেশত্যাগের সঙ্গে মেলানো যায়।'

ভোটের ফলাফলের পর জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান অধিবেশনে বলেন, মানবিক ও মানবাধিকার সুরক্ষার এমন একটি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ায় বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছে। কারণ প্রস্তাবটি নৈর্ব্যক্তিকভাবে নেয়া হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়। খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল।