চীনকে টেক্কা দিতে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশে ভারতের সুড়ঙ্গ!

চীনকে টেক্কা দিতে এবার ব্রহ্মপুত্রের তলদেশে সুড়ঙ্গ খুঁড়বে ভারত। অন্যদিকে নদীর উপরেও চলবে দৃশ্যমান সেতু নির্মাণের কাজ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, একই নদীর উপর এবং তলদেশ উভয় দিক দিয়েই কেন যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে?

এমন প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, সেনা যাতায়াত অবাধ রাখার জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। কোন কারণে যদি ব্রহ্মপুত্রের উপরের সেতু ধ্বংস হয়ে যায় বা ধ্বংস করে দেয়া হয় তাহলে অস্ত্রশস্ত্র, সাঁজোয়া যান নিয়ে সেনাদের যাতায়াত যেনো বন্ধ হয়ে না যায়, সে জন্য এই সুড়ঙ্গ তৈরির সিদ্ধান্ত!

ব্রহ্মপুত্রের ঠিক কোন অংশ দিয়ে এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হবে, তা এখনও জানা যায় নি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো একাধিক সুড়ঙ্গ তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে সুড়ঙ্গ প্রকল্প এখনো প্রস্তাবিত বা কল্পনার মধ্যেই রয়েছে। কাজ শুরুর বিষয়ে হয়ত শীঘ্রই আলোচনা শুরু করবে বিজিপি সরকার।

ডোকলাম ইস্যুতে চীনা সেনাদের আগ্রাসন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লি। অন্যদিকে অরুণাচলের সঙ্গে চীন সীমান্ত নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় সেনাবাহিনীও। তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে পানাগড়, কলাইকুন্ডার মতো বিমান ঘাঁটির শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। উত্তর-পূর্বে সেনাবাহিনীর ঘাঁটিকেও ঢেলে সাজাচ্ছে কেন্দ্র। এসব ঘটনার সবকিছুই করা হচ্ছে চীনের আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে।

বাংলাদেশের সাথে প্রতি বছরই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। রোববার ফোর্ট উইলিয়ামে আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের সাথে আলাপকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা নতুন এই সুড়ঙ্গ তৈরির কথা জানিয়েছেন। তবে তারা জানান, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পরিকল্পনা হিসেবেই রয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, ১৯৭১ সালে এই দিনেই পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করেছিল ভারতীয় বাহিনীর কাছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলে ফৌজি অপারেশনের দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল আর নাগরাজের বরাত দিয়ে খবরে জানানো হয়েছে, এই প্রথম বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সেনা, বিমান সেনা ও নৌসেনা অফিসাররা আসবেন।

অন্যদিকে কলকাতাতেও ১৩ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা। ১৩-১৪ ডিসেম্বর কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটে মিলিটারি ব্যান্ড এবং রেসকোর্সে হেলিকপ্টার ও ঘোড়সওয়ার বাহিনীর বিশেষ প্রদর্শনী দেখতে পাবে ওপার বাংলার লোকজন।