জুতার নিচে পিষে দিলেন গণমাধ্যমকে, ট্রাম্প কাণ্ডে নিন্দার ঝড়!

চলতি বছরের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাত্র কয়েকদিন বাদেই ট্রাম্প প্রশাসনের এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। নানা ধরণের বিতর্কিত মন্তব্য ও সিদ্ধান্তের জন্য বছরের শুরু থেকেই সমালোচিত ছিলেন তিনি।

তার বছর শুরু হয়েছিল গণমাধ্যমকে আক্রমণের মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে সিএনএন (ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্ক) তার আক্রমণের সবচেয়ে বেশি  শিকার হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ট্রাম্প নিজেই দাবি করে বসেন, তার দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিগত দিনের সকল মার্কিন প্রেসিডেন্টদের দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানের চেয়ে বেশি লোকসমাগম হয়েছে।

কিন্তু গণমাধ্যমের খবরে দেখা গেছে ভিন্নচিত্র। এ নিয়ে তিনি প্রকাশ্যেই মন্তব্য করে বসেন, ‘গণমাধ্যমের খবর ভূয়া’! সিএনএনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলে বসলেন, ‘এই চ্যানেলটি মিথ্যা খবর প্রচার করে’! গণমাধ্যমকে এভাবে আক্রমণ করে বছর শুরু করার পর বছরের শেষ দিকে এসেও একই কাজ করে বসেছেন ট্রাম্প!

তবে এবার আরো মারাত্মকভাবে গণমাধ্যমকে আক্রমণ করেছেন। সম্প্রতি oregon4TRUMP নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে করা বিতর্কিত একটি পোস্ট নিজেই শেয়ার করে বসেছেন ট্রাম্প। ওই পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরই একটি ছবি ছিল, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে ফটোশপের কারসাজি করা একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে দেখা যায়, একটি গাড়িতে পা তুলে বসে আছেন ট্রাম্প। তার পিছনে বড় করে লেখা 'উইনিং'। আর তার বাম পায়ের জুতার নিচে রক্তের ছাপ লাগানো, যাতে লেখা আছে ‘সিএনএন’।

জুতার নিচে গণমাধ্যমকে পিষে ফেলার বার্তার এ ছবিটি নিয়ে শুরু থেকেই তীব্র সমালোচনা চলছিল। বিতর্কিত ওই পোস্টটি রিটুইট করে সেই সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। এ ঘটনার পরে ট্রাম্পকে পরিণত মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনেকে লিখেছেন, ‘দয়া করে টুইটারে আক্রমণ করা ছাড়ুন। পরিণত হোন!’

অন্যদিকে, ট্রাম্পের রিটুইট নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠায় তড়িঘড়ি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্পপন্থী নেতারা। জেশন ওসবর্ন লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট জুতোর নিচে থাকা রক্তের ছোপকে একটি বাগ (ছাড়পোকা) বলে বোঝাতে চেয়েছেন।’ তিনি (ট্রাম্প) হযত ‘সিএনএন’ লেখাটা লক্ষ্য করেননি বলেও বলার চেষ্টা করেছেন ওসবর্ন।