ইরান: সীমা ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানে কয়েকদিন ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তেহরান। ইরান বলছে, 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানে চলমান 'নামমাত্র' বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে ধারাবাহিক টুইট করে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।’

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাসের কাছে পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটিতে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত গোলামালি খশরু বলেছেন, 'দেশের ঐক্য ধ্বংসকারী বিক্ষোভে উস্কানি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাদের সাবধান হতে হবে।’

তেহরানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভে সমর্থনের নামে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করছে। জনগণের সাধারণ প্রতিবাদকে তারা অনুপ্রবেশকারীর মাধ্যমে অন্যদিকে মোড় ঘুরানোর চেষ্টা করছে।

ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করার জন্য সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ব্যাপক সমালোচনা করেন গোলামালি খশরু। খশরু অভিযোগ করেন, টুইট বার্তায় সরকার পরিবর্তনের জন্য ইরানিদের উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

খশরু বলেন, 'মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা সরকার পরিবর্তন করার জন্য ইরানি সাধারণ মানুষকে বিক্ষোভে উৎসাহ দিয়েছে।' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এমন মন্তব্যকে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইরানের এমন চিঠির কোন জবাব এখনো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ডিসেম্বর ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর মাশাদে দেশটির চলমান অর্থনৈতিক বেহাল দশা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে সাধারণ জনগণ। সেই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারবিরাধী বিক্ষোভে পরিণত হতে যাওয়া এমন প্রতিবাদ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৪৫০ জন।