আপনি পড়ছেন

মিশরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে আগামী ২৬ থেকে ২৮ মার্চ। তবে বিশেষ প্রয়োজনে ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল রিজার্ভ হিসেবে রাখা আছে। জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লাশিন ইব্রাহিম স্থানীয় সময় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা ও ডেইলি সাবাহ।

egypt electionনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করছেন মিশরের জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লাশিন ইব্রাহিম। ছবি: টেলিগ্রাফ

রাজধানী কায়রোতে সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এপ্রিলের ২ তারিখ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। যদি ৫০ ভাগের বেশি ভোট কোনো প্রার্থীই না পান তবে ১ মে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কে হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী: আলজাজিরা জানায়, নির্বাচনে দুইজন প্রার্থীর নাম এখন পর্যন্ত জানা গেছে। তাদের একজন বর্তমান বিরোধী দলের নেতা মানবাধিকার আইনজীবী খালেদ আলী। অন্যজন মিশরের মহাকাশবিজ্ঞানী ইসাম হেগি। ইসাম হেগি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশের সায়েন্টিফিক অ্যাফেয়ার্সের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।

আবদেল ফাতাহ-আল সিসি নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচনের ঘোষণা না দিলেও তিনিই আগামী নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন সেটি অনেকটা নিশ্চিত। আগামী চার বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে বিজয়ী হতে খুবই আশাবাদী মিশরের এ স্বৈরাশাসক। যদিও আল সিসির বিরুদ্ধে দেশে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। এদিকে মুসলিম ব্রাদারহুদ নিষিদ্ধ থাকার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তারা এ নির্বাচনে কাকে সমর্থন দেয় সেটা নিয়েও বিস্তর আলোচনা রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। 

sisi 2বাঁ থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আল সিসি, মানবাধিকার আইনজীবী খালেদ আলী।  ইনসেটে আহমেদ শফিক

প্রার্থী হচ্ছেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক: মিশরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো তিনি আদর্শ ব্যক্তি নন বলে তিনি নির্বাচন না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। শফিক হোসনে মোবারকের শাসনামলে সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন

২০১১ সালে টানা ১৮ দিনের জনতার বিক্ষোভে হোসনি মোবারক সরকারের পতন হয়। ২০১২ সালে মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আহমেদ শফিক খুব সামান্য ব্যবধানে মুসলিম ব্রাদাহুদ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসির কাছে পরাজিত হন।

যেভাবে সিসি ক্ষমতা দখল করেন: সিসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধান থাকাকালীন ২০১৩ সালে তৎকালীন ইসলামপন্থী সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির নেতৃত্বাধীন ওই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন সিসি। এ ঘটনার প্রতিবাদের হাজার হাজার মিসরীয় রাজপথে নেমে আসেন। কিন্তু সিসির দৃঢ়তার কারণে দীর্ঘদিন বিক্ষোভ করেও কোনো সফলতা পায়নি বিক্ষোভকারীরা। 

সিসির ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ৮ মাসেই আড়াই হাজারেরও বেশি মিশরীয়কে হত্যা করা হয়। ১৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। এর মধ্যে মাত্র একজন পুলিশ হত্যার ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ মুসলিম ব্রাদাহুডের ৫২৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এটি ওই সময় বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়।

বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় মুরসিকে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে আছেন। এছাড়া আল-সিসি তার বিশেষ ক্ষমতাবলে  কারাগারে বন্দি আছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

সূত্র: গার্ডিয়ান, আনাদলু, আলজাজিরা, ডেইলি সাবাহ

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.