মিশরে সপ্তাহব্যাপী যৌথ অভিযানে নিহত ৫৩, গ্রেপ্তার ৬৮০

মিশরের নিরাপত্তা বাহিনীর সপ্তাহব্যাপী এক অভিযানে ৫৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শহরে চালানো এ  অভিযানে ৬৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ ভিত্তিক ওয়েবসাইট মিডলইস্ট মনিটর।

সংস্থাটি দেশটির সমারিক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্প্রতিবার খবরটি প্রকাশ করে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ উদ্ধার, আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে বলেও নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়। সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার ও নিহত হয়েছে উত্তর সিনাইয়ে।

মিডলইস্ট মিররের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চে নির্বাচন শুরু আগেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি। গত বছরের নভেম্বরে সিনাইয়ের একটি মসজিদে হামলার পরই এই নির্দেশ দেয়া হয়।

২০১৪ সালে উপত্যকায় ভয়াবহ এক আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে অন্তত ৩৩ জন সেনা সদস্য নিহত হয়। তখন থেকেই জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যেই গত নভেম্বরে মসজিদে হামলায় ৩০০ জনের মতো নিহত হয়। এরপরেই অভিযান জোরাল করার ঘোষাণা দেয়া হয়।

উত্তর সিনাইয়ে এ অভিযানে অংশ নেয় মিশরের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। সম্মিলত ওই অভিযান শুরু হয় গত শুক্রবার।

মিশরের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল তামের আল রিফাই সরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে জানান, সম্মিলিত ওই অভিযানে বিপুল অস্ত্র মজুদ স্থান, ৩৭৮ টি গোপন আস্তানা এবং সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন স্থপনা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৬৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিশরের সাম্প্রতিক কালের বড় এই অভিযান শুরু হয় শতাধিক বিমান হামলার মধ্য দিয়ে। যা পরিচালনা করেছে দেশটির বিমান বাহিনী।

মিশরের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলা দাওয়ারা জানিয়েছেন, বিমান বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের এড়িয়েই অভিযান চালিয়েছে।

সিনাইয়ের এই অভিযানে নেতৃত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইয়াসির আবদেল আজিজ জানিয়েছেন, এই অভিযান শেষে সিনাইকে ‘সন্ত্রাসমুক্ত’ করা হবে। আপাতত অভিযান বন্ধ রেখে কয়েকদিন আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করছি। সামরিক এই অভিযানের পর পূর্ণগঠনের জন্য সিনাইয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তাবয়নের কথা জানিয়েছেন তিনি।