শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালেন হিজড়া নারী!

হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে সমাজের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসকে ভেঙ্গে দিয়ে এবার শিশুকে নিজের বুকের দুধ পান করালেন এক হিজড়া নারী। বিশ্লেষকরা বলেছেন এধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। আমেরিকার ট্রান্সজেন্ডার নামের এক সাময়িকীতে এই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে বেস্ট পাম্পিং এবং সংশ্লিষ্ট কিছু ওষুধ খেয়ে এই কাজ সফল করেছেন ৩০ বছরের ওই হিজড়া নারী।

খবর প্রকাশরে পরে এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকায়। গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানছেন। এছাড়া ভবিষ্যতে অন্য হিজড়া নারীরাও কিভাবে এই কাজটি করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইম্পেরিয়াল কলেজের হরমোন বিশেষজ্ঞ ড. চান্না জয়াসেনা বলেন, ‘এই ঘটনা দারুণ একটি ঘটনা। ব্রিটেনে দুয়েকটি প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তবে সফলতার ঘটনা এটিই প্রথম। এখন এসব ঘটনা নিয়ে আমাদের আরো গবেষণা করতে হবে। আমরা যা কিছু জানি সেটা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে হবে। তাদের যাতে স্বাস্থ্যগত অন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি না হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে’।

ট্রন্সজেন্ডার সাময়িকীতে হিজড়া নারীর চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্তনে দুধ তৈরির জন্য যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তার যথার্থতা আছে কিনা তা নিয়েও গবেষণা করতে হবে। বুকের দুধ তৈরিতে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মোতাবেক প্রায় ৬ বছর আগে থেকে হিজড়া নারী হরমোন থেরাপি নিয়ে আসছে। যদিও তার লিঙ্গে কোন পরিবর্তন হয়নি। শিশুটি জন্মের আগেই কৃত্রিম দুধ তৈরির জন্য সাড়ে তিনমাস চিকিৎসা দেয়া হয়।

ডাক্তাররা জানিয়েছেন, যেসব নারী শিশু দত্তক নিতে চান তাদের যেই ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয় হিজড়া এই নারীকে একই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসব চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে ব্রেস্ট পাম্পিং, গর্ভধারনের পরে মায়েরা সাধারণত যে যে হরমোন উৎপাদন করে সেগুলো গ্রহণ করা, বুকে দুধ তৈরিতে উদ্দীপ্ত করার ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়াও খাওয়ানো হয়েছে পুরুষালী হরমোন তৈরি আটকানোর ওষুধ।

নিয়মিত থেরাপি গ্রহন ও ওষুধ খাওয়ার পর ওই হিজড়া নারী দুধ উৎপাদনে সক্ষম হয়। এখন তিনি নিয়মিত প্রতিদিন ৮ আউন্স করে দুধ করে দুধ পাওয়া যাচ্ছে, যা একজনের শিশুর জন্য উপযোগী।

যদিও যে পরিমাণ দুধ শিশুটির জন্য প্রয়োজন তাপাওয়া যাচ্ছে না। ফলে শিশুটিক এখন বুকে দুধের পাশাপাশি ফর্মূলা দুধ দেয়া হচ্ছে। এই মেয়ে শিশুটির বয়স এখন ৬ মাস।