২ ঘণ্টায় পেন্টাগন গুঁড়িয়ে দিতে পারবে বেইজিং!

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা মোটেও ভাল যাচ্ছে না। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই রাষ্ট্রের চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই হাইপারসনিক হেভি বম্বার আবিষ্কার করতে যাচ্ছে চীন। অবাক করা খবর হলো, এই বোমারু উড়োজাহাজটির বেইজিং থেকে নিউইয়র্ক যেতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা। ফলে মাত্র ১২০ মিনিটের ব্যবধানেই পেন্টাগন গুঁড়িয়ে দিতে পারবে বেইজিং।

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই এয়ারক্র্যাফ্টটি হাইপারসনিক গতিতে গমন করবে। বোমারু এই উড়োজাহাজটি শব্দের চাইতে ৫ গুণ বেশি গতিবেগে উড়তে সক্ষম। বিমানটি তৈরি এবং রুটম্যাপ দেখভাল করছে চীনা মিলিটারি। এয়ারক্র্যাফ্টটির ডানার সেট দুটি। বিমানটির নির্মাতা চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্স।

বেইজিং থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের দূরত্ব ৬ হাজার ৮০০ মাইল। সাধারণত কোনও বিমানের এই দূরত্ব যেতে সময় লাগে অন্তত ১৪ ঘণ্টা। চীনের তৈরি এই বোমারু বিমানটির সময় লাগবে মাত্র ২ ঘণ্টা। জানা গেছে, এয়ারক্র্যাফ্টটির তৈরি প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। বিমানটি দেখতে কেমন সেটি জানা না গেলেও সেটির কম্পিউটারাইজড মডেল ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। সামনের মাসের ৫ মার্চ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে উড়োজাহাজটির পরীক্ষা চালানো হবে।

নতুন এই যুদ্ধ বিমানটি দেখতে অনেকটা ইংরেজির বড় হাতের ‘আই’-এর মতো। গবেষকরা বলছেন, এয়ারক্র্যাফ্টটি যেমন বোমা বহনে সক্ষম তেমনি যাত্রী বা অন্যান্য জিনিসপত্র বহনেও সক্ষম। 

হাইপারসনিক স্পিড মানে বোমারু বিমানটি প্রতি ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। অন্যদিকে শব্দের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১২ শত ৩৫ কিলোমিটার। দুই জোড়া পাখাও রয়েছে প্লেনটির।

অত্যাধুনিক এই বিমানটিতে কতোজন বা কি পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র বহন করা যাবে -অত্যন্ত গোপনীয় এই প্রশ্নের উত্তর ফাঁস করেনি চীনা সেনাবাহিনী। তবে কম্পিউটার মডেল দেখে ধারণা করা হচ্ছে, আই আকৃতির প্লেনটি কিছুটা বোয়িং ৭৩৭ জেট প্লেনের মতো। যা ৫ টন কার্গো বা কমপক্ষে ৫০ জনকে বহন করতে সক্ষম। তবে বোয়িং ৭৩৭ জেট প্লেন ২০ টন পর্যন্ত কার্গো বহন করতে পারে। কাজেই চীনের এই বোমারু বিমানটি যে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিবে সেটি বলাই বাহুল্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই জোড়া পাখা থাকার কারণে এটির ভারসাম্য রক্ষা করা আগের যেকোন দ্রুতগতির বোমারু বিমানের চাইতে সহজ হবে। বলা হচ্ছে, লক্ষ্যভেদ করতে উড়োজাহাজটি বেশ পটু। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এই উড়োজাহাজটি চীনের জন্য অনেকটা ‘গেম চেঞ্জার’ও হতে পারে।