যুক্তরাষ্ট্র: নির্যাতনকারীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ সরকার সীমিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে মানবাধিকার অনুশীলন বিষয়ক এক মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সচিব জন জে সুলিভান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে জন জে সুলিভান বলেন, যারা এসব হামলার সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।

গত কয়েক মাসে মিয়ানমারের রাখাইনে বর্বরতার শিকার হয়ে ৬ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগণ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে সেখানকার হাজারো বেসামরিক মানুষ।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, দায়বদ্ধতার অভাবের কারণেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে স্বাধীনতার অভাব; দুর্নীতি; সহিংসতা,  লিঙ্গ বৈষম্য, ধর্মীয় সংহতি এবং যৌন দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ক অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানবপাচার বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর একটি বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রেস এবং মিডিয়া স্বাধীনতার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সকল প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারছে না। এছাড়াও যেসব মিডিয়া সরকারের সমালোচনা মূলক প্রচারণা চালিয়েছে তারা সরকারের কাছ থেকে নেতিবাচক চাপের সম্মুখীন হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার তাদের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের (বিটিভি) ওপর সম্পূর্ণ সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলো কোনো চার্জ ছাড়াই সরকারি প্রচারণা সম্প্রচার করে থাকে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

মার্কিন এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দেশের সংবিধানে জনগণের বাক স্বাধীনতার কথা বলা থাকলেও সরকার প্রায় সময়ই তা রক্ষায় ব্যর্থ। অনেক সময়ই সাংবাদিকরা হয়রানি ও প্রতিশোধের ভয়ে সরকারের সমালোচনা থেকে বিরত থাকেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। ইউএনবি।