ইতিহাসের দোহাই দিয়ে নেপালকে বাগে আনার চেষ্টা মোদির

নেপালকে নিজের মুঠোয় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নেপাল সফরে গেলেন তিনি। সেখানে গিয়েই বলেছেন, নেপালের গুরুত্বই ভারতের কাছে সবার আগে।

ইতোমধ্যেই সীতার জন্মস্থান বলে কথিত জনকপুর নামে নেপালের একটি ছোট্ট শহরকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলার জন্য ১০০ কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন মোদি। এ সময় ভারতের উত্তরপ্রদেশে রামের জন্মস্থান হিসেবে কথিত অযোধ্যা থেকে জনকপুর পর্যন্ত একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাস যোগাযোগের উদ্বোধন করেন তিনি।

এই সব সাহায্য-সহযোগিতা ঘোষণা করার সময় নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি মোদির পাশে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এতো সব পদক্ষেপের মাধ্যমে নেপালকে হাত করার চেষ্টা করছেন ভারত প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্প উদ্বোধনের সময় মোদি বলেন, নেপালের কন্যা সীতাকে বাদ দিয়ে ভারতের রাম যেমন অসম্পূর্ণ, ঠিক তেমনিভাবে নেপালের ইতিহাসকে বাদ দিয়ে ভারতের ইতিহাসও অসম্পূর্ণ।

তিনি বলেন, প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে সড়ক, রেল, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ সংযোগ, জল ও আকাশ পথে যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটাতে ভারতের নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন তীর্থস্থানগুলিকে পর্যটন এরিয়ায় পরিণত করতে চায়। এটা করা গেলে ভারত ও নেপালের হাজার হাজার যুবকের জীবিকার সংস্থান হতে পারে।

এবারের সফরে জনকপুর গিয়ে নেপালি ও মৈথিলি ভাষায় বক্তৃতা করে স্থানীয় জনগণের মন পাওয়ার চেষ্টা করেন ভারত প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতার শুরুতেই মোদি তিন বার বলেন, ‘জয় সিয়ারাম!’

উল্লেখ্য, নেপালে কে পি ওলির নেতৃত্বে বাম দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কাঠমাণ্ডুর সাথে চীনের যোগাযোগ বেড়েছে। এই সুযোগে বেইজিংও নেপালে বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই পদক্ষেপে অতীতের অতি ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের হুঁশ ফিরেছে। দেশটি এখন নেপালকে আবার আগের মতো কব্জায় রাখতে লোভনীয় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।