৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন জন্মহার, ‘ঝুঁকি’তে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা গত বছর সবচেয়ে কম সন্তান জন্ম দিয়েছে। গত বছরের জন্মহার ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে আগামী দশকগুলোতে দেশটির অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

দ্যা সেন্টার পর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’স ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিসটিকস-এর বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ লাখ ৮৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করে। গত বছর এর চেয়ে ২ শতাংশ কম শিশু জন্মগ্রহণ করে। যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে জন্মহার কমেছে। ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রতি হাজার নারীর সন্তান জন্মদান ক্ষমতা ৩ শতাংশ কমে ৬০.২০ শতাংশে নেমে এসেছে।

একটি বয়োবৃদ্ধ প্রজন্ম ইতোমধ্যে গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। কারণ উচ্চ জন্মহারের একটি প্রজন্ম অবসরে যাচ্ছে, কিন্তু সে হারে কম সংখ্যক তরুণই তাদের স্থানে আসছে। বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাধারণত জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং দক্ষ কর্মশক্তির ওপর নির্ভর করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে গত দশকে এই দুটি বিষয়েই সূচক নিম্নমুখী।

কনসাল্টিং ফার্ম অক্সফোর্ড ইকনোমিকসের অর্থনীতিবিদ ক্যাথি বসৎজানসিস বলেন, গত ১০ বছর আগেও চাকরিরত এবং চাকরিপ্রত্যাশী মার্কিনিদের সংখ্যা প্রতিবছর ১ শতাংশ হারে বাড়তো। জন্মহার কমার সঙ্গে সঙ্গে সেটা কমে ০.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাস্তবিক অর্থে অর্থনীতির ওপর জনসংখ্যা বিন্যাসের একটি শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি প্রতি বছর ৩ শতাংশ করে বাড়ছে। তবে এ বছর প্রবৃদ্ধি ২.৭ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ২.৪ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। অবশ্য এজন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর সুবিধা প্রদানকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে জনহারের নিম্নমুখী অবস্থার কারণে প্রবৃদ্ধির দীর্ঘমেয়াদি হার ১.৮ শতাংশে ঠেকতে পারে বলে আভাস দিয়ে রেখেছে ফেডারেল রিজার্ভ।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ