‘ইসরায়েলি দখলদারিত্ব না থামালে ফিলিস্তিনে শান্তি আসবে না’

ইসরায়েলের জবর দখলের অবসান না হলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শান্তি আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। দেশটির ইংরেজি দৈনিক ‘সাবাহ’য় প্রকিাশিত এক নিবন্ধে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রকাশিত ওই নিবন্ধে ইব্রাহিম কালিন লিখেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও লোক দেখানো নীতির জন্য প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর প্রশাসনকে ধন্যবাদ। আপনাদের এই নীতির জন্য ফিলিস্তিনে কখনো শান্তি আসবে না। এখনকার মতোই তা (শান্তি) সবসময় দূরে দূরে থাকবে।’

তিনি লিখেছেন, ‘মূল সমস্যা হলো ইসরায়েলের দখলদারিত্ব। এর অবসান না হওয়া পর্যন্ত ওই ভূখণ্ডে কারো জন্য কোনো নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে না। ইসরায়েলের অনবরত আইন লঙ্ঘন করা ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে অবশ্যই মুসলিম দেশসহ ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৭০ বছর ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরাপরাধ মানুষদের হত্যা করে আসছে। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে এবং ফিলিস্তিনের অধিবাসীদের জাতিগতভাবে নির্মূল করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদের এনে পুনর্বাসনের মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলস্তিনের মানুষের অভ্যুত্থান হয়। ওই অভ্যুত্থান "নাকবা" নামে পরিচিত।

গত ১৫ মে ছিল নাকবার ৭০ বছর পূর্তি। নাকবা দিবসের ঠিক একদিন আগে (১৪ মে) ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস তথা জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হয়। যার মাধ্যমে মূলত জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এ ঘটনার পর থেকে গাজায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ চলাকালে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং অন্তত ৩০০০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর তুরস্কে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা- ওআইসি’র বিশেষ অধিবেশন আহ্বায়ন করা হয়।

অধিবেশন থেকে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী গঠনের দাবি তোলা হয়। একই সাথে গাজা উপত্যাকায় সংগঠিত ঘটনা তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্ত দল যাতে সরেজমিনে তদন্ত চালাতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।