হঠাৎ রোহিঙ্গা শিবিরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

হঠাৎ করেই খবর রটে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসছেন। ব্যস, এরপরই ভিড় লেগে যায় টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালি ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে এবং এর আশপাশের এলাকায়। সোমবার বিকেল তিনটার পরে সত্যিই সেখানে আসেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা। তবে অভিনয়ের কাজে নয়, তিনি রোহিঙ্গা শিবিরে এসেছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।

রোহিঙ্গা শিবিরে এসে দুই তিনজন শিশুর সঙ্গে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলেন ১৯৮২ সালে ভারতের জামশেদপুরে জন্মগ্রহণ করা এই বলিউড সুপারস্টার। তাকে কাছে পেয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে কিছুক্ষণের জন্য হলেও বয়ে যায় অন্য রকম আনন্দের বাতাস।

প্রিয়াঙ্কা এসেছেন শুনে ভিড় করা এলাকাবাসীকে লাঠিপেটা করে দূরে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় প্রিয়াঙ্কা নিজে এগিয়ে গিয়ে পুলিশকে লাঠিপেটা না করার অনুরোধ করেন। এ সময় তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। রোহিঙ্গা শিবিরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ছিলেন ইউনিসেফের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও।

রোহিঙ্গা শিবিরে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিসেফ পরিচালিত এক হাসপাতালে। সেখানে নানা রোগে আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের খোঁজখবর নেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবারহ করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ নেন তিনি।

একদিন আগেই প্রিয়াঙ্কা ছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানে ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারির বিয়েতে কনে মেগান মার্কলের বান্ধবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখান থেকে সোমবারই ঢাকায় পা রাখেন এই বলিউড অভিনেত্রী। পরে ঢাকা থেকে উড়ে যান কক্সবাজার।

তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার রয়্যাল টিউলিপ হোটেলে উঠেছেন বলে জানা গেছে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আগামী চারদিন কক্সবাজারে থাকবেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি উন্নয়নে ইউনিসেফের বিভিন্ন উদ্যোগে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ২০১৬ সালে ইউনিসিফের আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছাদূত হন। সে সময় এই দায়িত্ব পেয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘আমি শিশুদের জন্য স্বাধীনতা চাই, চিন্তার স্বাধীনতা ও বাঁচার স্বাধীনতা। আসুন, সবাই মিলে সেই সব অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলি, যা শিশুদের বেড়ে উঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’