ইসলাম ধর্মগ্রহণ ঠেকাতে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রশিক্ষণ

ভারতে মুসলিম তরুণদের সঙ্গে প্রণয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘটনা অহরহই ঘটছে। এভাবে হিন্দু তরুণীদের ইসলাম ধর্মগ্রহণ ঠেকাতে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ভারতের বজরং দলের সদস্যরা। বিজেপির মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ে ইতোমধ্যে বজরং দলের একটি অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেছে।

রোববার ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতীয়তাবিরোধী শক্তি ও কথিত ‘লাভ জিহাদ’ মোকাবিলা করতে বজরং সদস্যদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণের বেশকিছু ছবিও প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে।

বজরং নামের সংগঠনটির জেলা আহ্বায়ক দেবী সিং সোন্ধিয়া অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির প্রসঙ্গে বলেন, 'এটি মূলত নিয়মিত প্রশিক্ষণ শিবির। জাতীয়তাবিরোধী শক্তি ও ‘লাভ জিহাদ’কারী অংশের মোকাবিলা করতেই রাজ্যে প্রতি বছর এমন ধরণের শিবির গড়ে তোলা হয়।'

ভারতে হিন্দুত্ববাদী গোড়া হিন্দুদের অভিযোগ, মুসলিমরা তরুণরা হিন্দু মেয়েদের ভুলিয়ে ভালিয়ে তাদের নিজেদের ধর্ম থেকে সরিয়ে মুসলিম করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিষয়টিকে তারা কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বলে প্রচার করছে। তবে ইসলাম ধর্মে ‘লাভ জিহাদ’ বলে কোনো বিষয় নেই। ইসলামে এমন কোন ঘৃণ্য নির্দেশনাও নেই।

ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ২০১৭ সালের জুলাই মাসে বজরং দল ও বিশ্বহিন্দু পরিষদের কর্মীদের এভাবে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। ভারতের বিরোধীদলের পক্ষ থেকে লাইসেন্স ছাড়াই অস্ত্র ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছিল।

তবে ভারতে এমন অদ্ভুত ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। গত বছর অাসামে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ হোজাইয়ের গীতা আশ্রম ও নলবাড়িতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। নলবাড়িতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের নারী শাখার নাম ‘দুর্গা বাহিনী’ করা হয়। এভাবে নারীদেরও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তার আগে ২০১৬ সালে উত্তর প্রদেশে রাইফেল, তলোয়ার ও লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বজরং বাহিনী।