কাতারকে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচালো গরু

চার আরব দেশের নিষেধাজ্ঞা কাতারের ওপর বজ্রপাতের মতো পতিত হলেও ধীরে ধীরে তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে দেশটি। নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়ে যেসব কারণে আরব উপদ্বীপের এই দেশটি সংকটে ভুগছিলো সেসব দিকে বাড়তি নজর দিয়ে এরই মধ্যে তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে।

স্থলপথে অবরোধের কারণে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি থমকে দাঁড়িয়েছিলো কাতারের। এরপর ৭০০ কোটি ডলার খরচ করে নিজেরাই নতুন একটি সমুদ্র বন্দর তৈরি করার প্রকল্প হাতে নেয় দোহা। বর্তমানে এই বন্দর দিয়েই ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের সরঞ্জাম নিয়ে আসা হচ্ছে।

কাতারের ওপর সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা ইরানকে আকাশপথেও একঘরে করে রেখেছিলো। বর্তমানে মিত্রদেশ ইরানের আকাশসীমা ব্যবহার করার মাধ্যমে সেই বন্দিজীবন ঘুচেছে।

কাতার যে কোনো প্রকার দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য সৌদি আরবের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিলো। ফলে এই নিষেধাজ্ঞা কাতারে দুগ্ধজাত পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে। সেই সঙ্কটাবস্থা কাটাতে নিজেরাই দুগ্ধজাত পণ্যে সাবলম্বী হতে চেষ্টা করে কাতার।

এই কাজে সবার আগে এগিয়ে আসেন পিটার ওয়েল্টেভরেডেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত জাতের গাভী বিমানে করে নিয়ে এসে কাতারেই বিশাল গরুর খামার গড়ে তোলেন। প্রথম দিকে ব্যাপারটি হাস্যকর মনে হলেও পিছু হটেননি পিটার। এখন তার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত খামারে দশ হাজার গরু রয়েছে। তার এই ডেইরি শিল্প দুগ্ধজাত পণ্যের সংকট কাটাতে সাহায্য করছে।

এ ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা চারটি দেশের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তাদের মতের সাথে অমিল হলেই তারা অন্যদের সন্ত্রাসী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। যারা আমাদের ওপর অবরোধ আরোপ করেছিলো তারা ব্যর্থ হয়েছে।