মাহাথিরের সিদ্ধান্তে মালয়েশিয়া যেতে কমবে খরচ

অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণে নির্দিষ্ট ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট জালিয়াতি ভেঙে দিতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। এখন থেকে সব লাইসেন্সধারী এজেন্টই শ্রমিক নেয়ার সুযোগ পাবে। ফলে কমবে শ্রমিকদের ব্যয়।

এর আগে বাংলাদেশ থেকে ১০টি এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি নেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মালয়েশিয়া পাঠাতে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। খবর: স্টার অনলাইন, মালয়েশিয়া।

স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাহাথির মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন। দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থানরত শ্রমিকদের জটিলতা এড়াতে সব দেশের ক্ষেত্রেই এক নিয়ম চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাহাথির বলেন, ১০ এজেন্টের ওই ব্যবস্থায় একটি মনোপলি তৈরি হয়েছিল। সেটা ভাঙতেই মালয়েশিয়া সরকার সব নিবন্ধিত এজেন্টের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়ার একটি পথ খুঁজছে। বাংলাদেশ, নেপালসহ সব দেশের ক্ষেত্রেই এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে ২০১৬ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই সমঝোতা স্মারকে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে শ্রমিক পাঠানার অনুমতি দেয়া হয়।

কিন্তু প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র ওই ১০ এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তারা শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে অন্তত ২০০ কোটি রিংগিত হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠলে জুনে ওই ব্যবস্থা স্থগিত করে দেশটির সরকার।

জানা গেছে, ১০ এজেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে মাথাপিছু সর্বোচ্চ দুই হাজার রিংগিত খরচ হওয়ার কথা। সেখানে এসব এজেন্টরা ২০ হাজার রিংগিত করে আদায় করছিল।

শ্রমিক আমদানির সঙ্গে যুক্ত রিক্রুটিং এজেন্টগুলো সরকারের নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে শ্রমিকদের আর অতিরিক্ত ১০ হাজার রিংগিত গুনতে হবে না।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার। সরকারি হিসাবে পাঁচ লাখের বেশি নিবন্ধিত বাংলাদেশি সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন। যদিও বাস্তবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি।