‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়া’ হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার দাবি

সম্প্রতি ভারতের আসামের জাতীয় নাগরিক তালিকায় (এনআরসি) ঠাঁই পায়নি রাজ্যটিতে বসবাসকারী বহু সংখ্যক হিন্দু। একটি অংশ দাবি করছে, এরা বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসী। বিষয়টি নিয়ে খোদ ভারতেই হচ্ছে আলোচনা সমালেচনা।

এ তালিকার কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই যখন অবস্থা তখন নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়া এই জনগোষ্ঠীকে নাগরিকত্ব দেয়ার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ইন্দো-আমেরিকান সংস্থার সমন্বিত একটি দল।

মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'দ্য হিন্দু' এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের নাগরিকত্ব বিল-২০১৬তে দেশটির প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার সাথে নাগরিকত্ব প্রদানের নিশ্চয়তার কথা বলা আছে। এর অধীনে সিংহবাহিনী আমেরিকা, গ্লোবাল হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশন (জিএইচএইচএফ) এবং নববঙ্গ প্রভৃতি সংস্থার ব্যানারে এই দাবি জানিয়েছে প্রবাসী ভারতীয়রা।

শিকাগোতে সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও এই দাবি জানায় দলটির সদস্যরা।

সম্প্রতি দলটির পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে 'কিছু বাংলাদেশি' আসামে এসে বসবাস করছিলেন। এর ফলে দেখা গেছে যে, হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।

একটা অনুমানের উপর ভিত্তি করে তারা বলেছে, প্রায় ১৪ থেকে ২৫ লাখ ভারতীয় হিন্দু এখনো নাগরিকত্বহীন অবস্থায় রয়েছে যাদের পূর্বপুরুষরা 'বাংলাদেশে নিপীড়নের শিকার হয়ে' ভারতে এসেছিলো।

ভারতের সম্পদ এসব নাগরিকদের কাছে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা চেয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'প্রত্যেক রাজ্যেই এনআরসি নিশ্চিত করা দরকার। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে নিপীড়নের শিকার গরীব হিন্দুদেরকে রক্ষা করাটাও ভারত সরকারের নিশ্চিত করা দরকার।' 

তবে দ্য হিন্দু প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে 'বাংলাদেশি অভিবাসী' বা 'বাংলাদেশে নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে যাওয়া হিন্দু'দের যে কথা উল্লেখ করা হলেও, এর সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ সেখানে উল্লেখ করা হয়নি।

বিবৃতিতে প্রবাসী ভারতীয়রা আরো বলেছে, নাগরিকত্ব বিল-২০১৬ অনুসারে ২০১৪ সাল থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা নিপীড়িত হিন্দু, শিখ ও জৈন সংখ্যালঘুদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হোক। এর ফলে আমরা বিশ্বকে একটি ঐতিহাসিক 'হিন্দু ঐক্য' হিসেবে উপস্থাপন করতে সমর্থ হবো।