আপনি পড়ছেন

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জ্বলছে মধ্য কলকাতার বাগড়ি মার্কেট। ৬৮ ঘন্টা পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। রাত নেমে আসায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিপর্যয় মোকাবেলায় দ্রুত সেনাবাহিনীর সাহায্য নেয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তি। খবর: এইসময়।

fire at bagree market in kolkata

বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করে চিঠিতে সিপিএম বিধায়ক বলেন, তদারকির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা যথাযথভাবে কার্যকর হয়নি। ব্যয়বহুল ল্যাডার, উঁচু মই কিছুই কাজে আসেনি। এর পিছনে কোনো চক্রান্ত আছে কিনা, অথবা দায়ভার কার- তা পরে বিবেচনা করা হবে। 

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে তিনি অবিলম্বে সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য পেশাদারী সংস্থার সাহায্য নিয়ে দ্রুত বিপর্যয় মোকাবেলার দাবি জানান।

এর আগে শনিবার রাত আড়াইটার দিকে আগুন লাগে বাগরি মার্কেটে। সেই থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মার্কেটে দাহ্যবস্তু মজুত থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই। মার্কেটের ভিতর কেউ আটকেও নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।’ ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যেই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পুজোর আগে এই অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিকভাবে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের দাবি।

ভবানীপুরে অগ্নিকাণ্ড:

এদিকে, বাগড়ি মার্কেটের আগুন না নিভতেই সোমবার আরো এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। এবার আগুন লেগেছে ভবানীপুরের এক বহুতল ভবনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেল চারটার দিকে বহুতল ভবনটির উপরের তলায় আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন তারা। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে, এরকম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কলকাতা শহরে আরো ঘটবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমবঙ্গের এ শহরটি 'সবচেয়ে অরক্ষিত ও অনিরাপদ' দাবি করে পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, মধ্য কলকাতার এই বিশাল ব্যবসায়িক কেন্দ্রে এমন একাধিক বহুতল ভবন আছে, যেগুলোতে আগুন লাগলে একই পরিস্থিতি হবে, কিংবা আরো খারাপ হতে পারে।

এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ভবনগুলোর অধিকাংশই গায়ে গায়ে লাগানো, পুরনো আমলের বাড়ি। সেগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি লোক ব্যবসা করে। কিন্তু ভবনগুলোর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা উন্নত নয়। আগুন লাগলে নিরাপদে বেরিয়ে আসারও পথ নেই। এমনকি আগুন নেভানোরও ব্যবস্থা নেই।

বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহল ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না। এ ব্যাপারে উভয়েরই সচেতন ও সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষেরই কোন সক্রিয়তা দেখা না যাওয়ায় আশঙ্কা থাকছেই। বিশেষ করে, মধ্য কলকাতার এই বিশাল বাজার এলাকা কার্যত এক অগ্নিপুরী হয়েই থাকছে। যে কোনো দিন সেখানে আবারো ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা!

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.