হামাসের ‘ঘুড়ি বোমা’য় দিশেহারা ইসরায়েল, নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি

ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন হামাসের কৌশলের কাছে বরাবরই পরাজিত হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে এবার ভয়ানক রূপে দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলের কদর্য চেহারা। এবারও হামাসের ঘুড়ি ও বেলুন বোমার কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সরাসরি হামাসকে উদ্দেশ করে হুমকি দিলেন দেশটির নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ফিলিস্তিনে গত মার্চ থেকে চলা ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনে কৌশল পাল্টিয়েছে হামাস। সংগঠনটি কোনো রকম ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে না গিয়ে বোমাসহ কিছু বেলুন, ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছে যা ইসরায়েলের সীমানায় গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এ কৌশলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে ইসরায়েল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার পাঁচ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে হামাসকে উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, হামাসের এই সব কর্মকাণ্ডের জন্য ‘বেশ মূল্য’ দিতে হবে। তাদের উপর চরম হামলা চালানো হবে।

ইতোমধ্যেই ইসরায়েল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় বাইরে থেকে জ্বালানি ঢুকতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণার পরপরই একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে গাজাবাসী। সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।

দীর্ঘ একযুগ অবরুদ্ধ থাকায় গাজার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রীতিমত ভঙ্গুর। সেখানকার মানুষ দিনে মাত্র চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পায়। বিদ্যুৎ ও জেনারেটর ব্যবস্থার জন্য ইসরায়েলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এক চুক্তির মাধ্যমে গত সপ্তাহে কাতার থেকে কিছু জ্বালানি ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল, তাতে কিছুটা বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছিল।

তবে গত শনিবার ইসরায়েল ঘোষণা করে যে, গাজার 'সন্ত্রাসী'দের সহায়তা করতে সেখানে কোনো জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সীমান্তে আমাদের সেনারা বসে আছে, কেউ বাড়াবাড়ি করলে সেনারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

প্রসঙ্গত, গত মার্চে শুরু হওয়া আন্দোলনে ইসরায়েলের গুলিতে এ পর্যন্ত ২০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।