শাস্তি দিলেই রুশ সেনা ডাকবে সৌদি!

ভিন্ন মতাবলম্বী ও স্বেচ্ছায় নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি ‘হত্যা’র ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। এ ঘটনা দেশটির অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এর মধ্যেই খাশোগি ইস্যুতে সৌদি দোষী প্রমাণিত হলে ‘কঠিন শাস্তি’র আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদির ওপর পশ্চিমা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হলে তেলের দাম বাড়িয়ে রুশ সেনাদের ডাকার হুমকি দিয়েছে দেশটি।

সৌদি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সৌদি আরবের আল-আরাবিয়াতে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, খাশোগির ঘটনায় রিয়াদ দোষী নয়। তারপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অর্থনীতিকে ছুরি মেরে হত্যা করবে। কারণ, এর জবাবে সৌদি আরব প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার করবে, মার্কিন ডলারের পরিবর্তে চীনা মুদ্রায় তেল বিক্রি করবে এবং রুশ সেনাদের ডেকে আনবে।

রোববার প্রকাশিত ওই নিবন্ধে আল- আরাবিয়ার মহা-ব্যবস্থাপক তুর্কি আদ-দাখিল বলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মোকাবেলায় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রিয়াদের হাতে অন্তত ৩০টি অপশন রয়েছে। এগুলো কাজে লাগাবে সৌদি কর্তৃপক্ষ।’

আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে নিজেদের আধিপত্যের কথা উল্লেখ করে আদ-দাখিল বলেন, ‘মার্কিন অর্থনীতিকে ধাক্কা দেয়ার জন্য সৌদি আরবের তেলই যথেষ্ট। তেলের দাম ৮০ ডলারে উঠলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মাথা গরম হয়ে যাবে। আর তেলের দাম ১০০ বা ২০০ ডলার অথবা তার দ্বিগুণ হবে না, তা কেউ হলফ করে বলতে পারে না।’

আদ-দাখিল আরো বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে ভূ-কৌশলগত দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে চীন, ইরান ও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকবে সৌদি আরব। সৌদির তাবুকে রুশ সামরিক ঘাঁটি তৈরি হতে পারে। এছাড়া লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের হামাসের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, সৌদি রাজতন্ত্রের কড়া সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়ে নিখোঁজ হন। তুরস্কের সরকার বলছে, সৌদি দূতাবাসেই তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। তবে রিয়াদ এখন পর্যন্ত তাদের ওপর আরোপিত এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।