আপনি পড়ছেন

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনটি প্রকাশ হলে রিয়াদের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখাটা একটু বিব্রতকর হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান সেটি প্রকাশ হোক। আগামী দুই দিনের মধ্যে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

us president donald trump at press 2018

বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আশা করছি, আগামী সোম কিংবা রোববারের মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা যাবে।’

এ সময় সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল সৌদি দূতাবাসে সংঘটিত সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রাউন প্রিন্স জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বলছে, এ হত্যাকণ্ডের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্সের সংশ্লিষ্টতা আছে। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের ভূমিকা কী হবে?

jamal khashoggi intanbul

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, যারাই এর সঙ্গে জড়িত তাদেরই প্রশ্নের মুখোমুখী করা হবে।’

মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, 'সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছে- তা সঠিক।'

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত সবাইকেই অপরাধ অনুপাতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনবে। সেক্ষেত্রে ভিসা বাতিল এবং অবরোধ আরোপসহ আরও নানারকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত ২ অক্টোবর ইস্তম্বুলের সৌদি দূতাবাসে ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে খুন হন সৌদি শাসকদের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগি। প্রথম দিকে সৌদি আরব বিষয়টি অস্বীকার করলেও প্রায় দু সপ্তাহ পর তাকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে এর সঙ্গে রাষ্ট্র কিংবা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী এই দেশটি।

এদিকে গত শনিবার খাসোগি হত্যায় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা সিআইএ। ওয়াশিংটন পেস্টের খবরে বলা হয়, সংস্থাটির দাবি ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন যুবরাজ বিন সালমান।

সিআইএ’র সূত্র দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তারা তদন্তের শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডে মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে।

এক্ষেত্রে সংস্থাটি মোহাম্মদ বিন সালমানের ছোটভাই যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন সালমান ও খাসোগির ফোনকল প্রমাণ হিসেবে দেখছে।

সিআইএ এই ফোন কল বিশ্লেষণ করে জেনেছে, যুবরাজ খালিদ খাসোগিকে ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেট ভবন থেকে কাগজপত্র আনার জন্য যেতে উৎসাহিত করেছিলেন। খালিদ তার ভাইয়ের নির্দেশে ওই ফোন করেছিলেন বলেও জানতে পেরেছে সিআইএ।

তবে এক টুইট বার্তায় খালিদ ওয়াশিংটন পোস্টের এ প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছেন।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে সিআইএ যদি সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্টতা পায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবচেয়ে কাছের মিত্ররাষ্ট্রের ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। ট্রাম্প বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সিনেটররা তাকে বার বার চাপে ফেলছেন। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই সম্ভবত সৌদি আরবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.